ছবি: সংগৃহীত
গত ৭ নবেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের রেলস্টেশন এলাকায় এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ এর কূল খুঁজে পাচ্ছে না। ঘটনার দুই মাস ১২ দিন পেরুলো থানা পুলিশ কোন কূল পর্যন্ত বের করতে পারেনি। তাছাড়া খরনা এলাকাটি পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে ওই এলাকার লোকজন বর্তমানে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকে রয়েছেন।
ডাকাতি ছাড়াও সম্প্রতি পটিয়ায় গরু চুরি, ছিনতাই, পাহাড়ি সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রুপসহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি স্বর্ণের দোকানসহ ৪টি দোকানে যে ডাকাতির ঘটনায় ইতোমধ্যে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে তেমন কোন তথ্য পাননি।
জানা গেছে, উপজেলার খরনা রেলস্টেশন এলাকার স্থানীয় একটি মার্কেটে গত ৭ নবেম্বর দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী ডাকাতদল মার্কেটের দারোয়ান মোহাম্মদ নাছির (৬৫) ও মোহাম্মদ হাসানকে (৩০) মারধর করে মহামায়া জুয়েলার্স, মোরশেদ স্টোর, নিউ শাহ জাহান টেলিকম, নুর আলমের চায়ের দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণসহ বেশকিছু মালামাল মিনি ট্রাকে করে নিয়ে যায়৷
এ ঘটনায় মোরশেদ স্টোরের মোরশেদ আলম বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। ওই মামলার ২ মাস ১২ দিন পেরুলো থানা পুলিশ কোন কূল খুঁজে পাচ্ছে না।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন সরকার জানিয়েছেন, ডাকাতির দীর্ঘদিন পেরুলো পুলিশ কোন ক্লু পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছে না। উপজেলার খরনা ইউনিয়নের জনবহুল রেলস্টেশন এলাকার মার্কেটে এ ডাকাতি হলেও এখনো কোন মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মালামাল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর না হলে ডাকাতির ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে৷
পটিয়া থানার উপ পরিদর্শক ইয়ামিন সুমন জানিয়েছেন, স্বর্ণের দোকানসহ ৪ দোকানে ডাকাতির মামলাটি পুলিশ তদন্ত করতেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ৬জনকে গ্রেফতার করেছেন। তবে তাদের কাছ থেকে কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। বর্তমানে মামলাটি পটিয়া থানার ওসি স্যার নিজেই দেখছেন।
বিকাশ/জাফরান