ছবি- সংগৃহীত
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই রাজধানী উত্তরা আজমপুর এলাকায় ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পানি বিতরণ করছিলেন শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। মেয়েরা যেখানে টিপ পরে ঠিক সে জায়গায় পুলিশের গুলি এসে লাগে তার মাথায়। ৪ মিনিটের হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে তার ২ ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত ও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
মুগ্ধর বড় ভাই মাহমুদুর রহমান দীপ্ত বলেন, মুগ্ধর পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করেই তারা এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন পুলিশ সদস্যর গুলিতে মুগ্ধর মৃত্যু হয়েছে এবং কার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এটি বের করার দায়িত্ব সরকারের।
মুগ্ধর পরিবার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন, কিন্তু লিখিত অভিযোগে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। গত ৬ মাস ধরে মুগ্ধর পরিবার এ ঘটনার বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করেছে। তাদের সংগৃহিত ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মুগ্ধ বলছে - ভাই পানি লাগবে কারো পানি।
ঘটনাস্থলের আশেপাশের সংগ্রহ করা ৪ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ দেখা যায়, ঘটনাস্থলে একটি মৃত দেহ নিয়ে আসে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরে গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির আঘাতে মুগ্ধ পরে যান। তার হাতে থাকা পানির বোতল ও বিস্কুটের পলিথিন ধরা ছিল । রাস্তায় মগজ ছড়িয়ে পরে। হাসপাতালে নেওয়ার পরের ফুটেজ দেখিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, মেয়েরা যেখানে টিপ পরে ঠিক সেখানে গুলিবিদ্ধ হয় মুগ্ধ, খুব ছোট একটি ছিদ্র। গুলিটি এক্সিট পয়েন্টে বড় হয়ে বের হয়ে আসে।
হাসপাতালে নেওয়া হলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, লাশ দ্রুত নিয়ে যান। পুলিশ আসলে লাশ দাফনে জটিলতা হতে পারে। পরে মৃত্যুর সনদ নিয়ে লাশ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মীর মাহবুবুর রহমানস্নিগ্ধ বলেন, মুগ্ধর মৃত্যুর পর অনেক বিতর্ক হয়েছে। এই গুলিটি পুলিশ চালিয়েছে নাকি বাইরের কাউকে দিয়ে মারা হয়েছে নাকি স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে। তাতে দেখা যায়, আমরা যে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছি তাতে নিশিত যে গুলিটি পুলিশ বাহিনী থেকে চালানো হয়েছে।
মুগ্ধর পরিবার এই হত্যার ন্যায় বিচার চান। তারা সরকারেরে কাছে নিরেপক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
লিঙ্ক- https://www.youtube.com/watch?v=-UdRPb8yKXI
মনিষা মিম