ছবি : সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ, একাডেমিক প্রতিযোগিতা, পারিবারিক প্রত্যাশা, সামাজিক চাপসহ বিভিন্ন কারণ এই প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলছে।
আত্মহত্যার কারণসমূহ:
ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও বিচ্ছেদজনিত হতাশা
কিশোর ও তরুণদের জন্য ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বন্ধুত্ব বা প্রেমজটিলতা বড় মানসিক প্রভাব ফেলে। সম্পর্কজনিত হতাশা অনেক সময় আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়।
অতিরিক্ত একাডেমিক চাপ
শিক্ষার্থীদের ওপর ভালো ফলাফল করার প্রচণ্ড চাপ থাকে। প্রতিযোগিতার এই দৌড়ে টিকে থাকার মানসিক চাপ অনেককে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে, যা আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে।
পারিবারিক প্রত্যাশা ও চাপ
অনেক পরিবার সন্তানের কাছ থেকে অত্যন্ত উচ্চ প্রত্যাশা রাখে। তাদের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে শিক্ষার্থীরা নিজেকে ব্যর্থ মনে করে, যা হতাশার কারণ হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার অবহেলা
ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি বা অন্যান্য মানসিক সমস্যাগুলোকে অনেক সময় গুরুত্ব দেওয়া হয় না। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সমস্যাগুলো একা একা মোকাবিলা করতে গিয়ে আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
সামাজিক চাপ
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া, অনলাইন বুলিং ও নেতিবাচক মন্তব্য অনেক সময় মানসিক অবসাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো ও সামাজিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। পরিবারের সাপোর্ট, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও ইতিবাচক মনোভাবই পারে এই ভয়াবহ প্রবণতা রোধ করতে।
শিলা ইসলাম