ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

একশ’ মিটার ব্রিজের  অভাবে ঘুরতে হয়  ১৫ কিমি পথ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আদমদীঘি, বগুড়া

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

একশ’ মিটার ব্রিজের  অভাবে ঘুরতে হয়  ১৫ কিমি পথ

.

উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী চাঁপাপুর ইউনিয়ন সদরের নাগর নদের ওপর মাত্র একশ’ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয় পাশাপাশি দুই উপজেলার লাখো মানুষকে। পাথরঘাটা নামকস্থানে জরুরি প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের চাটাইয়ের সাঁকো দিয়ে। সেটিও প্রতিবছর আড়াই-তিন লাখ টাকা খরচে নির্মাণ করতে নিজেদের মধ্যে চাঁদা উঠায়। এর ফলে নির্মাণ সামগ্রী এবং ধান ও সরিষাসহ অন্যসব কৃষিপণ্য পরিবহন করতে ঘুরতে হয় ১৫ কিলোমিটার পথ। 
জানা গেছে, উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের পূর্ব সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত নাগর নদের অপর পাড় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায়। ওই উপজেলার পশ্চিমাংশের ছয় গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল চাঁপাপুর হাট-বাজার এবং স্কুল-কলেজের ওপর। একইভাবে চাঁপাপুরের কয়েক গ্রামের মানুষের আবাদি জমি নন্দীগ্রাম উপজেলার ওই অংশে। ফলে তাদের জীবনযাত্রার কষ্ট সীমাহীন। শতবছরের এই দুর্ভোগ দূর করতে প্রায় ২০ বছর পূর্বে নন্দীগ্রাম উপজেলার পাথরঘাটা প্রান্ত থেকে এপারে চাঁপাপুর বাজার পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। তারপর ওই পর্যন্তই শেষ, নানা জটিলতায় ব্রিজটি আর নির্মাণ হয়নি অদ্যবধি। 
প্রতিবছর জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা নির্বাচিত হবার আগে ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু নির্বাচিত হবার পর ভুলে যায় ভোটার তথা জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি। জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সমস্যাটি ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আমার এই দপ্তর থেকে কোনো প্রকল্প গ্রহণের আইডি বা নথি মেলেনি। তবে পাশের নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে প্রকল্প গ্রহণ এবং নির্মাণ কাজের ভিত্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে মামলাসহ নানা জটিলতায় নির্মাণ কাজ মুখ থুবড়ে পড়ে বলে জানতে পেরেছি। 

×