ছবি: সংগৃহীত
এই রকমটা তো অনেক সময় মনে হয়, আবার যদি শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম, আবার যদি সেই মাটির গন্ধ নিতে পারতাম, সেই মজাদার খাবার যদি খেতে পারতাম।
এবার সেই আশা পূরণ করতে রাজধানীতে মিলেছে এমন এক জায়গা। এখানে মিলে পিঠা পুলিসহ অনন্য রকমের রুমালি রুটি। ঢাকার পূর্বাচলে দিনরাত ধরে ভোজনকারিগরদের চলে ব্যস্ততা।
শহরের যান্ত্রিক কৌশলের বাইরে গিয়ে এখানে মাটির আচে রান্না করা হয়। এখানে পাওয়া যায় হরেক রকমের পিঠা। পূর্বাচলের নীলা মার্কেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে হাঁসের মাংস।
পিঠা কিংবা রুমালি রুটির সাথে জমিয়ে একটু হাঁসের মাংস খেতে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন ভোজন রসিক মানুষেরা।
একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে পরিবারের সঙ্গে এখানে এসেছে এবং এখানকার খাবার তার কাছে খুবই সুস্বাদু লেগেছে।
অন্য একজনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আসলে এখানকার পরিবেশটাই অন্যরকম গ্রামের ছোঁয়া যেন আবার ফিরে পাচ্ছি। গ্রামবাংলার খাবারগুলো এখানে পাওয়া যায়।
সন্ধ্যার পর এখানে যেন মানুষ বাড়তেই থাকে। রাত যত গভীর হয় খাবারের গন্ধ তত ম ম করে ওঠে। দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে একটি দোকানে একদিনে হাস লাগে ১০০ থেকে ১৫০ টি। রুটির জন্য ময়দা লাগে ২০ কেজি।
এ নিয়ে একজন বলেন ৩০-৪০ হাজার টাকাও একদিনে বিক্রি হয়েছে। বেচাকেনা একেক দিন একেক রকম হয়।
পূর্বাচলে প্রতিদিনই মানুষের আনাগোনা হয়ে থাকে তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে ছুটির দিন।
শিলা ইসলাম