ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

নবজাতককে নদীতে ফেলে দিলেন স্কুল শিক্ষক মা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

নবজাতককে নদীতে ফেলে দিলেন স্কুল শিক্ষক মা

ছবি - জনকণ্ঠ

মাত্র পাঁচ দিন বয়সের এক নবজাতক শিশুকে বরিশাল নগরীর দপদপিয়া সেতুর ওপর থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষক মায়ের বিরুদ্ধে।

গত দুইদিন ধরে বিষয়টি গোপন থাকলেও শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হওয়ার পর পুরো নগরীজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্ণতার কথা বলে অভিযুক্ত মা ঐশি আক্তারকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার স্বজনরা। 

যদিও ভর্তি রেজিস্ট্রারে রহস্যজনক কারণে তার নাম রাবেয়া লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই নারী ও তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

জানা গেছে, নবজাতকের মা ঐশি আক্তারের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে। তিনি একই উপজেলার তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।

ঐশি আক্তারের স্বামী সোহেল আহমেদ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে নবজাতকের বাবা সোহেল আহমেদ জানান, গত ১০ জানুয়ারি ভোরে শেবাচিম হাসপাতালে আমার স্ত্রীর গর্ভে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। এর দুইদিন পর স্ত্রী ও সন্তানকে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় স্ত্রীর বড় বোনের বাসায় রেখে আসি। 

সেখান থেকে বুধবার দুপুরে সন্তানকে নিয়ে আমার স্ত্রী বের হন। এরপর সে ইজিবাইকযোগে দপদপিয়া সেতুতে গিয়ে সন্তানকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে আমার সন্তানের হদিস মিলছে না। এ ঘটনায় আমি আমার স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।


ঐশি আক্তারের ভাই মো. মাসুদ জানান, তার বোন শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্ণতায় ভুগেছেন। এজন্য তাকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তবে নবজাতক শিশুটি কোথায় আছে, এ প্রশ্নের জবাবে তার বোন কিছুই বলতে পারছেন না।

হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন নাম ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, আমার বোনের নাম রাবেয়া আক্তার ঐশি। তাই রাবেয়া লেখা হয়েছে।

কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ইতোমধ্যে থানা পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে ওই নবজাতকের মা অসুস্থ থাকায় তার কাছে থেকে পরিস্কারভাবে কিছুই জানা যাচ্ছেনা।

×