ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর কিশোর রিকশাচালক হোসাইন বেপারী (১৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া রিকশা, ব্যাটারি, এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাটের রশি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
পুলিশ জানায়, নিহত হোসাইন বেপারী ফরিদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম চর টেপা খোলা এলাকার বাসিন্দা। গত ২ জানুয়ারি ভাড়ায় চালানোর জন্য বের হওয়া হোসাইন নিখোঁজ হন। পরদিন ৩ জানুয়ারি সকালে কোতোয়ালি থানার ভাটি লক্ষ্মীপুর তালতলা এলাকার একটি বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
হোসাইনের বোন চম্পা আক্তার হত্যা মামলা দায়ের করার পর পুলিশ দ্রুত তৎপরতা চালায়। একই দিন বিকেলে ফরিদপুর সরকারি কমার্স কলেজের পেছন থেকে চুরি হওয়া রিকশা (ব্যাটারি ছাড়া) উদ্ধার করা হয়।
এরপর পুলিশ শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে তুফান চৌধুরী (২১) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তুফান স্বীকার করে, রিকশা চুরির উদ্দেশ্যে সে ও তার সঙ্গী হোসাইনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে চুরি করা রিকশার ব্যাটারি ভাটি লক্ষ্মীপুর এলাকার আল-আমীন নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে ৬,৫০০ টাকায় বিক্রি করে।
পুলিশ আল-আমীনকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে রিকশার চুরি হওয়া চারটি ব্যাটারি উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
কোতোয়ালি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে হোসাইন হত্যা মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আশিক