ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে খাল ভরাট পানি প্রবাহে বাধা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

মুন্সীগঞ্জে খাল ভরাট পানি প্রবাহে বাধা

শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়ায় সরকারি খাল ভরাট করা হচ্ছে

শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়ায় সরকারি খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। কোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের ওপর সেতুর উত্তর পাশে খালের জায়গা মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। দৃশ্যমান খালের ভরাটকৃত জায়গাটি ব্রাক্ষণপাইকশা গ্রামের হারুন অর রশিদ নামে এক ব্যক্তি নিজের মালিকানা জায়গা বলে দাবি করছেন। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। কয়েক বছর আগে খালের জায়গা ভরাট শুরু হলে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভরাট কাজটি বন্ধ করে দেয়। সরকার বদলের পর আবার সেই ভরাটকর্ম শুরু হয়েছে। আর এই খাল ভরাটের কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এতে এই এলাকায় চাষাবাদ বিঘ্নিত ছাড়াও জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

অভিযোগ উঠেছে কোলাপাড়ার স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ প্রভাব খাটিয়ে খালের ওই জায়গাটি ভরাট করেন। এই ভরাট কাজের চুক্তি নেন কোলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঞ্জিল হোসেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পাকা সরকারি সড়ক ও খালের ওপর সেতু সংলগ্ন প্রস্থে খালের প্রায় অর্ধেক জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এতে দৃশ্যমান খালের পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে ভরাটের ফলে খালের মাছ হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, ভূমি ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ কয়েক বছর আগেও খালের জায়গা ভরট শুরু করেন। তৎকালীন প্রশাসনের লোকজন এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। এখন ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে দিয়ে খালের জায়গাটি ভরাট করে। কোলাপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ খালটির সুরক্ষায় দখল ও ভরাটমুক্ত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে হারুন অর রশিদ ব্রাক্ষণপাইকশা-কোলাপাড়া বাজার সড়কের পাশে সরকারি একটি পুকুরের জায়গায় রাতের আঁধারে দোকানঘর  তোলে। এলাকায় যুব সংগঠনের অফিসের নামে ঘরটি নির্মাণ করার মধ্য দিয়ে জায়গাটি নিজের দখলে নেন। সাবেক ছাত্রদল নেতা মঞ্জিল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানতাম না জায়গাটি সরকারি খালের। তাই জায়গা ভরাটের কাজের চুক্তি নিয়েছি। পূর্বেও জায়গাটি ভরাট শুরু করা হলে স্থানীয় প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি খালের ওই জায়গার মালিকানা দাবি করেন। তিনি দম্ভ করে বলেন, কাগজপত্র অনুসারে জায়গার মালিক আমি। তাই জায়গাটি ভরাট করা হচ্ছে। ভরাটের জন্য আবার কারও অনুমতি লাগবে কেন। এ ব্যাপারে কোলাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ভরাট কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জায়গাটি মালিকানা দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু খালে জায়গা কারও মালিকানা থাকার সুযোগ নেই। তাকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

×