নেত্রকোনার আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহা রায় (৭১) হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শানাক্তসহ দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে শহরের বনোয়াপাড়া এলাকায় আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সামনের সড়কে ওই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিলীপ কুমার সাহা রায় আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মাইজার এলাকায়। তিনি নেত্রকোনার শহরের বড়বাজার এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মো. আবদুর রশিদ। শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক নাজমুল কবীর সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক গোলাম ফারুক, সহকারী অধ্যাপক নূরে আলম ফকির, প্রভাষক মাজেদুল আলম ও শিক্ষার্থী মো. জিসান প্রমুখ। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দিলীপ কুমার রায় একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তার মতো মানুষ এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হবেন তা কখনো আমাদের কল্পনায় ছিলো না। হত্যার পাঁচ দিন চলে গেলেও এখনো রহস্য উদ্ঘাটন হচ্ছে না। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’
জানা গেছে, দিলীপ কুমার সাহা রায়ের এক ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় থাকেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী ছেলের কাছে বেড়াতে যান। দিলীপ কুমার বাসায় একাই ছিলেন। গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তার স্ত্রী ঢাকা থেকে বাসায় পৌঁছে ঘরের দরজায় তালা দেখতে পান। একপর্যায়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং খাটের নিচে স্বামীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। জানতে চাইলে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। এছাড়া আসামি হিসেবে রুক্কু চৌহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আশিক