ছবি: সংগৃহীত
তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং স্থানীয় জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিতুমীরের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এক সংগ্রামের প্রতীক।
সৈয়দ মীর নিসার আলী, যিনি তিতুমীর নামে পরিচিত। ছিলেন একজন কৃষক নেতা ও ধর্মীয় সংস্কারক। তিনি ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচার ও জমিদারদের অন্যায় কর আদায়ের বিরুদ্ধে তিনি সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করেছিলেন।
১৮৩১ সালে তিতুমীর ও তার অনুসারীরা বাঁশ দিয়ে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন, যা পরিচিত হয় "বাঁশের কেল্লা" নামে। এটি ছিল এক বিস্ময়কর প্রতিরক্ষামূলক স্থাপনা। বাঁশের তৈরি হলেও এটি ছিল অত্যন্ত মজবুত এবং স্থানীয় জনগণের সাহসিকতা ও উদ্ভাবনী চিন্তার প্রতীক।
১৮৩১ সালের নভেম্বর মাসে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র ও কামান নিয়ে বাঁশের কেল্লায় আক্রমণ চালায়। এই অসম যুদ্ধে তিতুমীর ও তার বহু অনুসারী শহীদ হন।
তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের প্রথম প্রতিরক্ষামূলক স্থাপনার একটি উদাহরণ। এটি শুধু একটি প্রতিরোধ নয়, বরং শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার গল্প। তিতুমীর আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহানায়ক হিসেবে স্মরণীয়।
বাংলাদেশ ইতিহাসে তিতুমীরের এই অধ্যায় বিপ্লবী চেতনা ও আত্মত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হলেও এর প্রতিরোধ চেতনা আজও বাংলার মানুষকে প্রেরণা জোগায়।
শিলা ইসলাম