ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

নড়বড়ে সাঁকোই পারাপারের ভরসা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর, পাবনা

প্রকাশিত: ২১:২৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

নড়বড়ে সাঁকোই পারাপারের ভরসা

.

চাটমোহরে নিমাইচড়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করত নদীর বহরমপুর-মির্জাপুর নদী ঘাটে হয়নি ব্রিজ। ব্রিজের অভাবে নদীর পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ের প্রায় চৌদ্দটি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর। বছরের প্রায় আট মাস নৌকায় আর বাকি চার মাস বাঁশের সাঁকোতে অতি কষ্টে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। বহরমপুর ও বেলগাছি এ দুটি গ্রামের চারপাশেই নদী থাকায় গ্রাম দুটি উন্নয়ন বঞ্চিতও হচ্ছে।
জানা গেছে, নদীর পশ্চিমপাড়ে বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর, করকোলা, বরদানগর, চিনাভাতকুর, বহরমপুরসহ আর বেশকিছু গ্রাম রয়েছে। পূর্বপাড়ের মির্জাপুরে রয়েছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, নিমাইচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ব্যাংকসহ এলাকার বিখ্যাত মির্জাপুর হাট। এছাড়া আরও বেশকিছু গ্রামের অবস্থান নদীর পূর্বপাড়ে। বিভিন্ন প্রয়োজনে নদীর পশ্চিমপাড়ের মানুষকে পূর্বপাড়ে এবং পূর্বপাড়ের মানুষকে পশ্চিমপাড়ে যাতায়াত করতে হয়। নদী পারাপারে দশ-বারোটি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে বর্ষাকালে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় ভরসা রাখতে হচ্ছে।
বহরমপুর গ্রামের এহিয়া আলী জানান, বর্ষাকালে এ এলাকার মানুষকে খেয়া নৌকার অপেক্ষায় নদীপাড়ে অপেক্ষা করতে হয়। নদীর পানি কমে গেলে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। এ সময় সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয় তাদের। অসুস্থ রোগী, সন্তানসম্ভবা মাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। শিশু, বৃদ্ধরা ও বিড়ম্বনার শিকার হন নদী পারাপারের সময়।
গৌড়নগর গ্রামের মজিবর রহমান জানান, বগালালী ও মরা করতোয়া নদীর ওপর বহরমপুর-মির্জাপুর ব্রিজ না হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষকে প্রতিদিন কষ্ট করতে হচ্ছে।  চাটমোহর উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঊর্ধ্বতন দপ্তরে ৮টি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। তার মধ্যে এ সেতুর প্রস্তাবনাও রয়েছে। এখনো সমীক্ষা, যাচাই-বাছাই হয়নি। আশা করছি আগামীতে জনগুরত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেতু নির্মিত হবে।

×