ছবি : সংগৃহীত
গত ১২ জানুয়ারি সন্ত্রাসী হামলা থেকে বয়োবৃদ্ধ বাবা ইউনুচ খলিফাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাংবাদিক কেএম বাচ্চুকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। বাচ্চুর ভাই সোহাগ খলিফা রবিবার মধ্য রাতে মামলাটি করেছেন।
মামলায় কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতসহ অন্তত ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাচ্চু ও তার বাবা ইউনুচ খলিফা বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। কুয়াকাটা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা, পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী হোসেন খন্দকার, শ্রমিক দলের শহীদ, কাদেরের নেতৃত্বে এই হামলা মারধরের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বাচ্চু জানান, তিনি ও তার বাবা ইউনুচ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় ওখানকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকার। তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করা হয়। ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার। বাবাকে মারধরের খবর শুনে বাচ্চু সেখানে পৌছলে জসিম মৃধা ও আলী হোসেন খন্দকারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মেজবাহ উদ্দিন মাননু /মো. মহিউদ্দিন