কুষ্টিয়ায় বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দুইদলের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৬ জনকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে এক বৃদ্ধসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে কয়েকদিন ধরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুজন কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ রবিবার বিকেলে স্কুলের মাঠে আমার উপস্থিতিতে একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দ্দার সাংবাদিকদের বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে স্থানীয় জামায়াতের এক নেতার নাম জমা দেওয়া হয়েছে। পরে বিএনপি নেতা নাসির আমাদের প্রার্থীকে আবেদন তুলে নিতে হুমকি দেন। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় গতকাল শনিবার রাতে তার বাড়িতে হামলা করা হয়। সে জন্য একটা শালিসি মিটিংয়ের আয়োজন করেছিলাম। বিএনপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে নাসিরের নেতৃত্বে অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, নাসির এক সময় ছাত্রদল নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী। তবে ঘটনাটি যেহেতু স্থানীয় দুই পক্ষের তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হাসান ইমাম বলেন, হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধের অবস্থা গুরুতর। প্রত্যেকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
রাজু