ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

আমিনুল হক

ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না

ছবিঃ জনকণ্ঠ

স্বৈরাচারী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন  বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলে অতীতে পারেনি,ভবিষ্যতেও কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির কোন ক্ষতি করতে পারবে না।  

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ভাষানটেক ৩ নম্বর মোড় বিআরপি কমপ্লেক্স  মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ভাষানটেক থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের জুলুম অত্যচার নির্যাতন নিপীড়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা সহ্য করেছে; স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বিএনপিকে বহুভাবে ষড়যন্ত্র করে ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে,কিন্তু কোন চেষ্টাই তাদের সফল হয়নি। কারন বিএনপি এদেশের গণমানুষের দল। বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে কাজ করে। 

বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশে এখনও পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন,বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে এদেশের জনগণ। এই জনগণকে নিয়েই আমাদের পথ চলা-আমাদের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে গত ১৭ বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে, সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে দেশকে উদ্ধার করতে, রাষ্ট্রকে পূর্ণগঠন সংষ্কার করার জন্য।
বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে,জনগণের অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং একটি মানবিক বাংলাদেশ গঠন করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান  ৩১ দফার রুপরেখা দিয়েছেন। সেই ৩১ দফার রুপরেখা নিয়ে আমাদের ইতিমধ্যে বিভাগীয় জেলা ও থানা পর্যায়ে আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। 

একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি কাজ করবে বলেও আমিনুল হক তিনি তার বক্তব্যে যোগ করেন।  

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিকামী দেশ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন,সংষ্কারটা তখনই পরিপূর্ণ করা যাবে, যখন দেশে একটা নির্বাচিত সরকার আসবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া পরিপূর্ণ ভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংষ্কার সম্ভব নয়।  

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখছি- এখনও বিভিন্ন কাজের অনুমোদন ও কাজ বরাদ্দবাবদ ঘুষ নেয়া হয়। আমরা স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে এটা দেখতে চাই না। আমরা চাই প্রত্যাকটি কাজ নিরপেক্ষ করে যাচাই বাছাই করে প্রত্যাকের প্রাপ্ত কাজ বুঝিয়ে দেয়া হবে। 

স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে কিন্তু তাদের প্রেত্নাতারা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে ঘুষের প্রথা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,আজকেও একটি পএিকায় রিপোর্ট দেখলাম-কৃষকদের কীটনাশকের অনুমোদন ও বরাদ্দের জন্য ঘুষ নেয়া হচ্ছে।এই ঘুষ বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না।
ঘুষ আওয়ামী স্বৈরাচারের তৈরি করা একটা প্রসেস। 

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তফা জামান।

ভাষানটেক থানা বিএনপির আহবায়ক কাদির মাহমুদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, ঢাকা মহানগর সদস্য মাহবুবুর রহমান,
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্মআহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,এবিএমএ রাজ্জাক,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,মোঃ আক্তার হোসেন,আতাউর রহমান,তুহিরুল ইসলাম তুহিন,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ,আফাজ উদ্দন,হাজী মোঃ ইউসুফ,শাহ আলম,মাহাবুবুল আলম মন্টু,মহানগর উত্তর এর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী,শফিকুল ইসলাম শাহীন, রেজাউর রহমান ফাহিম,আবুল হোসেন আব্দুল, আশরাফুজ্জাহান জাহান,শামীম পারভেজ, মাহাবুব আলম ভূঁইয়া শাহিন,ফারুক হোসাইন ভূইয়া,নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু,নাসির উদ্দিন, মোতালেব হোসেন রতন,রফিকুল ইসলাম খান, এম এস আহমাদ আলী,ইব্রাহিম খলিল,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,তাসলিমা রিতা ছাড়াও জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহবায়ক শরিফুল ইসলাম স্বপন,স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারন সম্পাদক মহসীন সিদ্দিকী রনি,কৃষকদল ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারন সম্পাদক শফিকুর রহমান মিঠু,উত্তর মহিলাদল সদস্যসচিব এ্যাড রুনা লায়লা, তাতীদল উত্তর এর আহবায়ক শামসুন্নাহার বেগম,জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু,ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ,ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন সোহেল

এছাড়াও খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্মআহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন,কাফরুল থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক,যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির দেওয়ান জনি,কাফরুল থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাব্বি,সদস্য ওয়াহিদ আলম,দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন,ক্যান্টেনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান রতন, বিমানবন্দর থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু,যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক,যুগ্মআহবায়ক মন্জুর হোসেন  পাটোয়ারী,যুগ্মআহবায়ক মাসুদ আহমেদ খান,বিমানবন্দর সাংগঠনিক ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রউফ সাধারণ সম্পাদক রানা হোসেন রুবেল,উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আহবায়ক শাহ আলম,যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল হক,এসআই টুটুল,নজরুল ইসলাম খান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এফ ইসলাম চন্দন, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্মআহবায়ক হারুনুর রশিদ খোকা,হাজী জহিরুল ইসলাম,মোঃ চান মিয়া,পল্লবী থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোকছেদুর রহমান আবির,ভাষানটেক থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা, মোহাম্মদপুর থানা ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনী সেন্টু,৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।

নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুর ৩ টায় পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের পরে দলীয় গান গেয়ে কর্মশালাটি শুরু হয়ে নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা 
৭.৩০ পর্যন্ত চলে। রাষ্ট্র কাঠামো সংষ্কারের ৩১ দফা নিয়ে নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আমিনুল হক।

রহিম/জাফরান

×