ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন এখন সময়ের অপেক্ষায়

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন এখন সময়ের অপেক্ষায়

ছবিঃ জনকণ্ঠ

যমুনা নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ রেলওয়ের মেগা প্রকল্প যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন এখন সময়ের অপেক্ষায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে সেতুর উদ্বোধনের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি চলছে।

ইতোমধ্যেই সেতুর উপর দিয়ে সফল ভাবে  ১২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি লাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। তবে বড় ধরণের কোন ক্রুটি বিচ্্যুতি ধরা পড়েিেন। এখন অপেক্ষা শুধু সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। তবে সেতুটি উদ্বোধনের পর সেতুর তিনশ মিটার দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে বিদ্বমান রেলপথ  দিয়ে কোন ট্রেন চলবে না। যমুনা রেল সেতু প্রকল্পের  প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তা মোঃ  মাসউদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুটি ১৯৯৮ সালে চালু হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়।  একই সময়ে রেলপথ স্থাপন করে রেল সংযোগ দেওয়া হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনের গতিসীমা কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের৷ এই দুর্ভোগ এড়াতে সেতুটির ৩০০ মিটার অদূরে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেল সেতু’। যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। তবে এটি চালু হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল সংযোগ থাকলেও চলবে না ট্রেন।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান আরো জানান- এখন বঙ্গবন্ধু সড়ক  সেতুর ওপর ট্রেন চলাচলের একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। এতে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি। এই দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে ২০২০ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে তৎকালীন সরকার। সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। অপরদিকে রেল সেতু উদ্বোধনের পর সেতুর উপর দিয়ে আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করতে পারবে।


রল সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের আগস্টে যমুনা নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে এ ব্যয় বেড়ে দাঁডায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষ করা হয়।

জাফরান

×