আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে একের পর এক কাঁটা তারের বেড়াসহ স্থাপনা নির্মাণ করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে ক্ষুব্ধ আর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। এসব কারণে সীমান্ত রক্ষায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখার উভয়পাশে দেড়শ গজের মধ্যে কোনো দেশই কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এসব আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক কাঁটাতারের বেড়া, লাইটপোস্ট ক্যামেরা সংবলিত যন্ত্রাংশ দেড়শ গজের অভ্যন্তরেই স্থাপন করছে। এতে উত্তেজনা বিরাজ করছে সীমান্ত এলাকায়। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৯ নম্বরের ২ নম্বর উপপিলার পাটগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাটিয়ারভিটা সীমান্তের শূন্যরেখার ৫০ গজ অভ্যন্তরে গত মঙ্গলবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বিএসএফের ৯৮ ব্যাটালিয়নের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সে দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করে।
পরদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষাবাদ করতে যাওয়া কৃষকরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেয়। বিজিবি বিএসএফের নিকট তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র সরিয়ে নিতে বলে এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয়। পরবর্তীতে ওই সীমান্ত পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে ভারতের পক্ষে ৬ জন বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র সিং। বাংলাদেশের পক্ষে ৬ জনের নেতৃত্ব দেন সুবেদার মাহবুবুর রহমান। বৈঠকে কোনোকিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে শূন্যরেখার মধ্যে খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করার প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।
এ সময় বিএসএফকে শূন্যরেখার মধ্যে কোনোকিছু নির্মাণ বা স্থাপনে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন মেনে চলার আহ্বান জানায় বিজিবি। নির্মিত খুঁটি ও যন্ত্র সরিয়ে নিতে আহ্বান জানালে স্থাপিত যন্ত্র ও খুঁটি সরিয়ে নেয় বিএসএফ।