সোয়া তিন কোটি টাকার ফার্নেস অয়েল লুট
জেলার চর মুক্তারপুরের কাছে ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনা থেকে ফার্নেস অয়েল ভর্তি এমভি বি জামান-১ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ছিনতাই হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে জাহাজটি গাজীপুর যাওয়ার পথে মোড় ঘুরানোর সময় উক্ত স্থানে চলন্ত জাহাজে ওঁৎ পেতে থাকা সশস্ত্র জলদস্যুরা ট্রালার থেকে জাহাজে উঠেপড়ে।
মাস্টারসহ জাহাজে থাকা ছয় জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ফোনসহ সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে জমটুপি (কালো কাপড় দিয়ে মুখে ডেকে দেওয়া) পরিয়ে ইঞ্জিন কক্ষে আটকে রেখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে জাহাজটি থেকে থাকা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ফার্নেস অয়েল লুট করে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে মেঘনা সেতুর কাছে জাহাজটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। লুণ্ঠিত অয়েলের মূল্য ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জাহাজটির কিং ফিশার শিপিং কোম্পানির। আর ফার্নেস অয়েল সামিট গ্রুপের। জাহাজটির মাস্টার সাইজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের সামিট পাওয়ার থেকে ফার্নেস অয়েল গাজীপুরের সামিট পাওয়ারে নেওয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে রওনা হন।
তিনি বলেন, প্রথমে মুখোশ পরা ছয়জন ডাকাত জাহাজে ওঠে। তাদের কাছে বড় বড় রাম দাসহ নানা রকম অস্ত্রপাতি ছিল। তাদের মুখে ‘ডালিম’ নামটি শোনা যায়। এই রিপোর্ট লেখার সময় নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিল।
জাহাজ কোম্পানির ম্যানেজার ফজল আহম্মেদ জানান, জাহাজের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পারায় বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়। পরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে জাহাজারে অবস্থান মেঘনা সেতুর কাছে জানতে পেরে সেখানে রাতে পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে জাহাজ রেখে দ্রুতগতির ট্রলারে করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এরপর জাহাজ কোম্পানির কর্মকর্তাসহ নৌ পুলিশ এবং বিআইডব্লিউটিএ জাহাজের গিয়ে বন্দি করে রাখ জাহাজের ছয় জনকে উদ্ধার করে। পরে কোস্ট গার্ড জাহাজ পরিদর্শন করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী জানিয়েছে ডাকাতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে ফার্নেস অয়েল লুট করে কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।