৪ শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় প্রতিবন্ধী দম্পতি। ছবি: জনকণ্ঠ।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ২নং চরাদি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খাসেরহাট এলাকার মৃত সেকান্দার সিকদারের পুত্র প্রতিবন্ধী মনির হোসেন তার মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী রেশমা বেগম ও চার শিশুসন্তানকে নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই প্রতিবন্ধী হলেও এখনো কোনো সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আসেননি এই অসহায় পরিবারটি।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মনির একসময় রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। তবে বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অর্থের অভাবে স্ত্রী রেশমা বেগমের চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তিনি। এতে দিনদিন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে চার সন্তানকে ঠিকমতো খাবার জোগানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।
চার সন্তানের মধ্যে বড় মেয়েটির বয়স মাত্র ১০ বছর। অভাবের কারণে তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি। বাবা-মায়ের অসহায়ত্ব দেখে ছোট বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। যেখানে তার হাতে থাকার কথা বই-খাতা, সেখানে এখন অন্যের বাড়িতে হাঁড়ি-পাতিল ধোয়ার কাজ করছে সে।
মনিরের কোনো জমিজমা নেই, নেই নিজের কোনো ঘর। বড় ভাই নাসিরের ঘরের বারান্দায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তিনি। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার মতো শীতবস্ত্রও নেই পরিবারের কারও। স্থানীয়দের দেওয়া পুরোনো কাপড় ও কাঁথা গায়ে জড়িয়ে শীত কাটাচ্ছেন তারা।
মনির বলেন, স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ছোট ছোট সন্তানদেরও আমাকে দেখাশোনা করতে হয়। এজন্য কাজেও বের হতে পারছি না। যদি স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারতাম, তাহলে সে সুস্থ হয়ে সংসারের কাজে সহযোগিতা করত।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ বলেন, আমরা খুব দ্রুতই খোঁজ নিয়ে এই অসহায় পরিবারটিকে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেবো।
তাবিব