ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১

বিজিবি-বিএসএফ টহল

ফুলবাড়ী সীমান্তে মাজার জিয়ারত করতে পারলেন না ভক্তরা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

ফুলবাড়ী সীমান্তে মাজার জিয়ারত করতে পারলেন না ভক্তরা

কছিম উদ্দিন মাজার জিয়ারত উপলক্ষে বিজিবি-বিএসএফের টহল

ফুলবাড়ী সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে দরবেশ কছিম উদ্দিন মাজার জিয়ারত উপলক্ষে বিজিবি-বিএসএফের টহল জোরদার করা হয়েছে।  ভারতের ভূখ-ে মাজারটি অবস্থান হওয়ায় ভারতীয় নারী-পুরুষরা অংশগ্রহণ করলেও পারেনি বাংলাদেশী ভক্তরা। ফলে  দরবেশ কছিম উদ্দিনের ৭৮তম জিয়ারত  মানত দিতে না পারায় শুক্রবার বাংলাদেশী ভক্তরা ফিরে গেছে দলেদলে। 
জানা  গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা নাখারজান  সীমান্তের ওপারে  ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের  কোচবিহার  জেলাধীন দিনহাটার ৯৪১ এর সাবপিলার ১  থেকে ৫নং পিলারের নিকট মনাইটারী সেউটি-২ গ্রামের জিরো লাইনে প্রায় ২শ’ বছর পূর্বে আরব থেকে আসা দরবেশ কছিম উদ্দিন ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা গাড়েন। ধর্ম প্রচারের  একপর্যায়ে তার  মৃত্যু হয়।

নির্জন ওই এলাকায়  তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পর সীমান্তের দু’পাড়ের ধর্মপ্রাণ লোকজন প্রতি ১০ জানুয়ারি  মৃত্যু দিবস পালন করে। সেখানে  উরস মোবারকের সঙ্গে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়। ৬ শতক জমির ওপর নির্মাণ করা হয় তাঁবু। জিয়ারতের পাশাপাশি এই দিনে  দু’দেশের আত্মীয়স্বজনদের দেখা মেলে অনুষ্ঠানে। একে অপরের সঙ্গে কথা  হতো দীর্ঘদিন পর।

সেই আশায় লোকজন  মাজারের পাশে জড়ো হলেও সংযোগ মেলেনি তাদের। সীমান্তের জিরো লাইনে দরবেশের মাজারটি হওয়ায়  বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে বসবাসকারীরা  যৌথ আয়োজনে উরসটি পালন করে। এবার ভারতীয় বিএসএফের বাধায় বাংলাদেশীরা প্রবেশ করতে পারেনি।  
নাখারজান সীমােেন্ত বসবাসকারী রফিকুল ইসলাম  ও আব্দুল খালেক জানান, বাড়ির পাশে দরবেশের মাজার হলেও আমরা এবার যেতে পারিনি। আমরা উভয় দেশের বসবাসকারীদের মাধ্যমে জাঁকজমকভাবে উরস মোবারক পালন করেছিলাম। এলাকায় বসত মিলনমেলা। দুই দেশের জিনিসপত্র বিক্রি হতো মেলায়। দু’দেশের আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হতো। 
দরবেশ কছিম উদ্দিনের  জিয়ারত  কমিটির ভারতের অংশের সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া জানান বিএসএফের বাধার কারণে বাংলাদেশীদের প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। সকাল থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে  জিয়ারত করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে বিএসএফ। লালমনিহাট ১৫ বিজিবির ব্যাটালিয়নের  অধীন গঙ্গারহাট বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত ন্যাস নায়েক ছানোয়ার হোসেন জানান, ভারতের ভূখ-ে কছিমুদ্দিনের মাজার হওয়ায় বাংলাদেশীদের জিয়ারত স্থানে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

×