
বিদ্যুৎ টাওয়ারের পাশের মাটি এভাবেই কেটে নেওয়া হচ্ছ
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের চারশ’ ১৩ ফুট উঁচু টাওয়ারের পাশের জমির মাটি ১৫ ফুট গভীর করে কেটে ইটভাঁটিতে নেওয়া হয়েছে। প্রভাবশালী জলিল মৃধা এ মাটি কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এতে টাওয়ার ধসে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন এবং প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন তারা। দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের। ঘটনা ঘটেছে শনিবার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পুর্ব কুকুয়া এলাকা দিয়ে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। ওই টাওয়ারের পাশের ফসলি জমির মাটি প্রভাবশালী জলিল মৃধা শনিবার কেটে বিবিসিকো এবং এমএমসি ইটভাঁটিতে বিক্রি করে দিয়েছেন। একশ’ ২৬ মিটার (চারশ’ ১৩ ফুট) উঁচু বিদ্যুৎ টাওয়ারের পাশের জমির মাটি কেটে ১৫ ফুট গভীর করায় ঝুঁকিতে রয়েছে টাওয়ারটি। এতে টাওয়ার ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী জলিল মৃধা টাওয়ারের পাশের মাটি ১৫ ফুট গভীর করে কেটে নিয়েছে। এতে টাওয়ার ধসে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা আরও বলেন, টাওয়ারটি একশ’ ২৬ মিটার উঁচু। ওই টাওয়ার ভেঙে পড়লে প্রাণনাশেরও আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী জলিল মৃধার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
টাওয়ারের পাশে বসবাসরত শাহিনুর বেগম বলেন, মাটি কাটতে নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু প্রভাবশালী জলিল মৃধা শোনেননি। এমন গভীর করে মাটি কেটেছে যে কোনো সময় টাওয়ার ধসে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
প্রভাবশালী জলিল মৃধা বলেন, আজ নতুন না, কয়েক বছর ধরেই মাটি কেটে ইটভাঁটিতে দিচ্ছি। কোনো সমস্যা তো হয়নি। কিন্তু টাওয়ারের পাশ থেকে মাটি কেটেছেন কেন? এতে তো টাওয়ারটি ধসে যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা ভূমি অফিসের তহসিলদারকে পাঠানো হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যানুসারে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।