জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তার অধিভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে সুশাসন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গুড গভর্নেন্স এবং একাউন্টেবিলিটির উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বছরের শুরু থেকেই পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে বরিশালের উজিরপুর থানায় অবস্থিত গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের রজত জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স খুলে শিক্ষার নামে বাণিজ্য আর করতে দেয়া হবে না। উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর কোনো শিক্ষার্থীকে যাতে চাকুরী খুঁজতে না হয়, সেই লক্ষ্যে সিলেবাস সংস্কারের কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সকল কলেজে ট্রেডকোর্স এবং কর্মমুখী শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের এমন ভাবে তৈরী করা হবে যেন পাস করার পর তাদের আর চাকুরী খুঁজতে না হয় বরং চাকুরী দাতারাই নিজ দায়িত্বে তাদের খুঁজে বের করবে।
উপাচার্য আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমাদের সন্তানদেরকে আকাশ থেকে গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য দেখতে হয়। এসময় সকল ধরনের রাজনীতি কলেজের বাহিরে রেখে আসতেও সকলকে সতর্ক করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক সংসদ সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বুয়েট এর অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা, গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যাক্ষ, সভাপতি এবং পরিচালনা পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
রিফাত