ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সিঙ্গারা খেয়ে টাকা না দেওয়া এবং পূর্ব পাওনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতাসহ দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবহা তালতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব পাওনার টাকা ও সিঙ্গারা খেয়ে টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালতলা বাজারে হোটেল ব্যবসায়ী বিল্লাল মল্লিকের সঙ্গে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ হোসেন মোল্যার ছেলে রাহুল মোল্যার কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে বিল্লাল মল্লিকের হোটেলে ভাঙচুর চালায় রাহুল ও তার সহযোগীরা।
বিষয়টি জানতে পেরে ফরিদ হোসেন ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিল্লাল মল্লিককে দুই হাজার টাকা দিতে চান। কিন্তু বিল্লাল টাকা না নিয়ে শনিবার সালিশের দাবি জানান। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার দুপুরে বিল্লালের বড় ভাই গুনবহা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসির মল্লিকের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফরিদ হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নাসির মল্লিকের ভাই ওমর মল্লিক, ফরিদ হোসেনের সমর্থক রাজা শেখ মারাত্মক আহত হন। এছাড়া সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে আহত হন বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির মল্লিক বলেন, আমার ভাই বিল্লালের সঙ্গে লেনদেন ছিল ফরিদ কাউন্সিলের ছেলে রাহুলের। বিল্লাল টাকা পরিশোধ করলেও রাহুল তার হোটেলে সিঙ্গারা খেয়ে বিল না দিলে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে আমার দলের লোকজনের উপর হামলা চালায় তারা। তাতে আমাদের ১০ জন আহত হয়।
তবে বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেন বলেন, আমার ছেলে রাহুল ৫ হাজার টাকা পায় বিল্লালের কাছে। রাহুল বিল্লালের দোকান থেকে ২৫ টাকার সিঙ্গারা খেয়ে টাকা বাকি রাখায় কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির মল্লিক তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমিসহ আমার ১০ সমর্থক আহত হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বোয়ালমারী থানার ওসি গোলাম রসুল বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আশিক