.
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বিএনপি নেতা হায়দারের বিরুদ্ধে ভালুকিয়া খাল থেকে পাথর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। পাথর উত্তোলনের বিষয়টি তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভালুকিয়া খাল থেকে প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরে খালের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হায়দারের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ শ্রমিক দিয়ে প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন করছেন। এসব পাথর কেএইচবি নামে তার অবৈধ ইটভাঁটির মাঠে জমা করছেন। পরে রাতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রাকে করে পাথরগুলো পার্শ^বর্তী উখিয়া ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছেন তিনি। পাথর উত্তোলনের ফলে খালটির পানি শুকিয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাথর উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা হায়দার বলেন, ভালুকিয়া খাল আমাদের পাশে। এখানে এতটি বিজিবি ক্যাম্প, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনের সামনে আমি কিভাবে পাথর উত্তোলন করব। আমি পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত এটা কারা ছড়িয়েছে বুঝতে পারছি না। আপনারা চাইলে ইউএনও স্যারের কাছে জানতে পারেন। আমি পাথর উত্তোলনের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভালুকিয়া খাল থেকে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে তথ্য নেই। তবে খোঁজ নিয়ে পাথর উত্তোলনের প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, পাথর উত্তোলনের বিষয়ে আমি গতকাল শুনেছি। তবে জায়গাটি নাকি অনেক রিমোট এরিয়া। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।