ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে কড়িকান্দি-বিশনন্দী ফেরিঘাট অবস্থিত। এই ফেরিঘাট দিয়েই বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানুষ ঢাকা যাতায়াত করেন। তবে ঘাটের ফেরিতে থাকা যাত্রী ছাউনিই এখন যাত্রীদের জন্য এক বিরাট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেরি পারাপারের সময় সাধারণ মানুষকে যাত্রী ছাউনির বাইরে দাঁড়াতে হচ্ছে। কারণ, যাত্রী ছাউনি দখল করে সেখানে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কিছু মানুষ ছাউনিতে জায়গা পেলেও অধিকাংশ মানুষকে দাঁড়াতে হচ্ছে খোলা জায়গায়। ফলে রোদে ও বৃষ্টিতে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত এমন ভোগান্তির মধ্যে দিয়েই যাত্রীরা ফেরি পার হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যাত্রীরা তাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরছেন। তাদের অভিযোগ, যাত্রী ছাউনিতে দোকান থাকার কারণেই এসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
মো. সাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, "ফেরির উপরের দোকানগুলো বন্ধ করলে যাত্রীরা একটু স্বস্তিতে যেতে পারবে। কারণ অতিরিক্ত রোদ ও বৃষ্টির সময় দোকানের কারণে মানুষ বসার বা দাঁড়ানোর জায়গা পায় না।"
ওয়ারেস খান নামে এক যাত্রী লেখেন, "জনগণের জায়গা এখন দোকানের দখলে!" সজীব সাহা নামের আরেক যাত্রী বলেন, "ফেরিতে দোকান থাকার কারণে সেদিন বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় যেতে হলো। এভাবে দোকান দিলে যাত্রী ছাউনি থাকার কি লাভ?"
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, দোকানগুলোতে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়। কাজী শাহজালাল রেজভী নামে এক যাত্রী বলেন, "ফেরিতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পানির দাম পাঁচ টাকা বেড়ে যায়। এটা কেমন নিয়ম?"
এ বিষয়ে ফেরির ইজারাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "আমরাও অনেকবার চেয়েছি এখানে দোকানগুলো না থাকুক। উচ্ছেদও করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে দোকানগুলো ফের বসানো হয়। অনেক সময় দোকানিদের জীবিকার বিষয়টিও ভাবতে হয়। তবে যাত্রী সেবাই আমাদের কাছে প্রধান। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
আশিক