ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১

উত্তরাঞ্চলে ঠান্ডার দাপট, খেল দেখাচ্ছে তাপমাত্রা

বাতাসে মনে হচ্ছে বরফ ঝরছে!

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৮:২২, ১০ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৮:২৩, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

বাতাসে মনে হচ্ছে বরফ ঝরছে!

ছবি : সংগৃহীত

পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীতে হানার আলামতে নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চল জুড়ে বেড়েছে মৃদু থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ এবং পুবালী হাওয়ার দাপট। ওপার বাংলা ভারতের দার্জিলিং এর তাপমাত্রা শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় সমতলে তার প্রভাব পড়েছে এপার বাংলার উত্তরাঞ্চল জুড়ে। পাশাপাশি খেল দেখাচ্ছে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা।

আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। তবে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসাবে আজ শুক্রবার বিবেচিত হয়েছে।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজ শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে আসায় ঠান্ডার দাপট কমেনি বরং বরফ ছোয়া বাতাসে জনজীবনে দূর্ভোগ নেমেছে।   সকালে কুয়াশার প্রভাব থাকলেও শুক্রবার সকাল ১০টার পর হালকা রোদ ফুটে উঠলেও মৃদু ও মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। পাশাপাশি পুবালি হাওয়ার দাপট ছিল।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ছড়ানো প্রকৃতিতে অনুভূত হচ্ছে প্রকট কনকনে শীতের তীব্রতা। ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার গতিতে বইছে বাতাস। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, দিন মজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

 

তারা বলছেন, তাপমাত্রা একই যাচ্ছে না। ওঠানামা করছে। কাজে সমস্যা হচ্ছে, বাতাসে মনে হচ্ছে বরফ ঝরছে। মানুষের পাশাপাশি তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত প্রাণীরাও। স্থানীয় কায়িক শ্রমিক রহমত মিয়া, আশিক, হামিদ সহ কয়েকজন বলেন, আজকে ঠান্ডাটা বেশি মনে হচ্ছে। আমরা তো তাপমাত্রা কত তা জানি না। কিন্তু সারারাত এতো ঠান্ডা পড়েছে লেপ আর কম্বল একসঙ্গে নিলেও ঠান্ডা কমাতে পারিনি। মনে হয়েছে তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।রিক্সচালক রুস্তম আলী জানান, কনকনে বরফ বাতাস সহ্য হয়না। ফলে ভ্যান বা রিক্সাচালকরা পড়েছে বিপাকে।

রংপুর বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, কয়দিন আগেও উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রিতে অবস্থান করায় শীতের কনকনে ভাব ছিল । গতকাল বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের পতন ঘটে। আজ শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সামান্য কিছু বৃদ্ধির পেলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পতন ঘটেছে বেশ।

তিনি জানান, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘন্টা আগে সকাল ৬টায় ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। দেখা যায় বেলা বাড়লেও তাপমাত্রা কমেনি বরং বেড়েছে।  

 

 

সূত্রমতে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ও সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৮; রংপুরে সর্বনিম্ন ১২দশমিক ২ ও সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৫; নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলা এবং কুড়িগ্রামের  রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে এই তিন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১,২৩ ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ছিল।

তাহমিন হক ববী/মো. মহিউদ্দিন

×