ছবি : প্রতিকী
নড়াইলে নারী ইউপি মেম্বারকে ধর্ষণ ও বিষ প্রয়োগের ঘটনায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও অপরাধীরা চিহিৃত হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চার আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেনি।
নড়াইল সদর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম বলেন, গণধর্ষণ ও বিষ প্রয়োগের ঘটনায় এজাহারভূক্ত আসামি স্থানীয় দৌলতপুর গ্রামের ফারুক মোল্লাকে ২৮ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়। আদালতে আবেদনের ভিত্তিতে ২ জানুয়ারি তাকে ২ দিনের রিমান্ডে আনা হলেও সে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। এ মামলায় অপর এজাহারভূক্ত আসামি শফিকুল ইসলামকে ২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়। ৩ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে দুই দিনের জন্য তাকে রিমান্ডে আনা হলেও সে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। তবে সে এ ঘটনায় গ্রেপ্ততার হওয়া আসামি ফারুক জড়িত ছিল বলে আমাদের জানিয়েছে।
বাকি দুই আসামি দৌলতপুর গ্রামের রজিবুল (৩০) ও চঞ্চলকে (৩৫) এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
২৪ ডিসেম্বর মাইজপাড়া ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর বাসনা মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেলে রজিবুল মোল্লা ফোনে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
বাসনা মল্লিককে একটি কক্ষে আটকিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়। আসামিরা বিষয়টি কাওকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। বাসনা বিষয়টি ফাঁস করে দেয়ার কথা বললে আসামিরা তাকে মারধর করে এবং জোরপূর্বক মুখ চেপে মুখের মধ্যে বিষ জাতীয় কিছু ঢেলে দেয়। পরে বাসনা রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়িতে ফিরে কাওকে কিছু না জানিয়ে শুয়ে পড়েন এবং কয়েকবার বমি করেন। ঘটনার পরের দিন চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও অবস্থার আরো অবনতি হলে ওইদিন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রিংকু মল্লিক ২৮ ডিসেম্বর বাদি হয়ে দৌলতপুর গ্রামের ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
মনিষা মিম