রাণীশংকৈলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় ঐতিহাসিক রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়িতে শুরু হয়, দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি'র কয়েকটি পর্বের শুটিং ধারণের কাজ। কিছু শর্ট ধারণের পরই রাত ৮ টার দিকে চেয়ারে বসা কে কেন্দ্র করে শুরু হয় ধস্তাধস্তি এক পর্যায়ে উৎসুক জনতা চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলে পরে হানিফ সংকেত ইত্যাদি’র কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করেন।
তবে এঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে উৎসুক জনতা মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাত ১১ টার দিকে পূণরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে শুরু হয় বাকী পর্বের শুটিং ধারণের কাজ। পরবর্তীতে শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে রাত ১ টার সময় শেষ হয় জমিদার বাড়িতে বাকি পর্বের শুটিং ধারণের কাজ। এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ছোট গ্যালারি ৪ থেকে ৫ হাজার দর্শকের আয়োজনের বিপরীতে ইত্যাদি’র আমন্ত্রনপত্র দেওয়া হয় প্রায় ৪ হাজার, এই নিয়ে বসার আয়োজন। এর বেশি হলে দাঁড়িয়ে থাকার মতোও কোন ব্যবস্থা নেই। সেখানে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও সহ আশেপাশের পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এমতাবস্থায় দর্শক গ্যালারি ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয়হীনতা, আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা সহ ইত্যাদির আমন্ত্রণ কার্ড ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা বাণিজ্য। সেই সাথে প্রশাসনের নিরাপত্তার গাফিলতি এসবের জন্য দায়ী। চলতি মাসের ৩১ জানুয়ারি ইত্যাদির প্রোগ্রামটি বিটিভিতে দেখানোর কথা রয়েছে।
রাণীশংকৈল থানা ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত জনসমাগম ও জায়গা সংকুলানের জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ইত্যাদি স্থগিতের ঘোষণার পর জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসে। পরে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় ইত্যাদির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
রিফাত