পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাসকক্ষ আগুনে পুড়ে যায়
রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। ফলে পূর্বনির্ধারিত অস্থায়ী এ আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ শুরু হয়নি। তবে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে আদালত সরানোর দাবিতে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আদালত না বসায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার পুনর্তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং কারাবন্দিদের মুক্তিসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনেরা। কয়েক শত চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা এবং কারাবন্দিদের স্বজনরা দিনব্যাপী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে শাহবাগসহ আশপাশের এলাকার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতের এজলাসে আগুন দেওয়ায় সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, এজলাস কক্ষের কিছুই অবশিষ্ট নেই। সেখানকার সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বিশাল কক্ষটিতে সারি সারি গ্রিলের খাঁচা বসানো, যেখানে একসঙ্গে হাজারখানেক আসামিকে বসানোর ব্যবস্থা ছিল। আদালত কক্ষের তাপ নিরোধক আচ্ছাদন, এসি, এজলাসের চেয়ার-টেবিল কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। ঘুলঘুলির কাঁচগুলোও ভাঙচুর হয়েছে।
দুপুরে বিচারক ও আসামি পক্ষের আইনজীবীসহ পুড়ে যাওয়া এজলাস পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিডিআর) চিফ প্রসিকিউটর এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার আলহাজ মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, আমরা বিচারক ও আসামি পক্ষের আইনজীবীসহ এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেছি।
এখানে আদালত পরিচালনার মতো অবস্থা নেই। বিচারক আমাদের দুই পক্ষকে ডেকেছেন। কবে এবং কোথায় আদালত বসবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। আমরা কথা বলে পরবর্তী শুনানির সময় নির্ধারণ করব। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শুরু করা হবে।
এর আগে আদালত পরিদর্শনে আসেন বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া। এ সময় তার সঙ্গে কথা বলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। বিচার কাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচার কাজ কোথায় চালানো হবে সে বিষয়ে জানা যায়নি।
তবে কে বা কারা এ আগুন দিয়েছে সেই তথ্য নেই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কাছে। পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে জানতে যাওয়া হয়েছিল, অস্থায়ী আদালতে কে আগুন দিল? তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কখন আগুন দিয়েছে? তাকে বলা হয়, বুধবার ভোররাতে এখানে আগুন লাগার তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
লালবাগের ডিসি বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি জানি না, আপনারা কোথা থেকে তথ্য পেলেন। আমাকে আরও কয়েকজন সাংবাদিক ভাই ফোন দিয়েছিলেন। কারা আগুন দিল, কখন আগুন দিল- এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। কিন্তু সেখানে ধোঁয়ার খবর পেয়ে আমাদের লোক গিয়েছিল। সেখানে প্রোগ্রামের কিছু আয়োজন চলছিল, মাটির কিছু ঘাসলতা পুড়ছিল।
আমাদের লোক আদালত ভবনে কোনো আগুন পায়নি। এই পুলিশ কর্মকর্তা পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনারা কি কাউকে জিজ্ঞেস করেছেন, এখানে কখন আগুন লেগেছে? ছাত্রদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, বুধবার এখানে আগুন লাগার কথা তারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। তখন ডিসি জসীম বলেন, আমাদের অনেকে বলেছে, ওখানে আগুন দেওয়া হয়েছিল ৫ তারিখের (আগস্ট) ঘটনার পর।
দুপুরে এজলাস কক্ষটিতে ছবি তোলার সময় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন, কাজ শেষ হয়েছে কি না। তিনি ওই কক্ষে তালা মেরে দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন বলে জানান। টিভি স্টেশনের সংবাদকর্মীরা তখন আশরাফুলকে জানান, ২টায় ‘লাইভ’ শেষ করে তারা চলে যাবেন।
তখন আলাপচারিতায় আশরাফুল বলেন, বুধবার মধ্যরাতে কয়েকজন লোক এসে ওই মাঠের ফটকে লাগানো তালা ভাঙা বা কাটার চেষ্টা করেন। ওই সময় ছাত্ররা মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর আয়োজনে ব্যস্ত ছিল, যে অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার দুপুরে হয়েছে।
এই শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ফটকে তালা ভাঙা বা কাটার চেষ্টা দেখতে পেয়ে ওই লোকগুলোকে ধাওয়া দেয় ছাত্ররা। এরপর তারা নিজেদের মাঠ রক্ষার দাবিতে পাশের সড়কে ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ অবস্থান নেয়। স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তারাও সেখানেই ছিলেন। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ছাত্ররা সেখানে ছিল বলে আশরাফুল দাবি করেন।
অস্থায়ী আদালতের আগুনের কারণ সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি লালবাগ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ভোরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে এজলাস কক্ষের চেয়ার, টেবিল, এসিসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, ভোর চারটা ২২ মিনিটে বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আগুনের খবর পেয়ে আমাদের দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে লোকজনের বাধার মুখে আমাদের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। পরে ভোর পাঁচটার পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে গেলেও কাজ করতে হয়নি। ততক্ষণে এজলাসকক্ষ পুড়ে গেছে।
এদিকে, অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেন আলিয়ার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশীবাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে বুধবার রাতভর আন্দোলনের পর সকাল থেকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
বিচারকাজ শুরুর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেখানে অবস্থিত অস্থায়ী আদালতে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি-আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ শিক্ষার্থীদের। কারা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে মাঠটি দখল করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে আদালত পরিচালনা করছে। তারা মাঠ দখলমুক্ত করতে চান।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসার ভেতরে বিচারকাজ চলমান থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘœ হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কর্ণপাত করেনি তারা। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই বাইরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি এখানকার আদালত স্থানান্তর ও আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ উন্মুক্ত করার।
ওসি বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ তো অনেক বড় দুটি গেট তালাবদ্ধ ছিল। বাইরে ছিল ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি। ভোরে অন্ধকারের মধ্যে কে বা কারা আদালতের একটি কক্ষে আগুন দেয়। এতে কিছু কাগজপত্র আসবাবপত্র পুড়ে যায়। কারা কাজটি করেছে সেটি জানা যায়নি। যদিও এর আগে গত ৫ আগস্টেই এই মাদ্রাসায় স্থাপিত আদালত প্রায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি ওসির।
এদিকে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার পুনর্তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং কারাবন্দিদের মুক্তিসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনেরা।
সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন তারা। শহীদ মিনারে জড়ো হন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত চাকরিচ্যুত বিডিআর কর্মকর্তারা এবং কারাবন্দিদের স্বজনরা। তারা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে কথা হয় নরসিংদী থেকে আসা চাকরিচ্যুত বিডিআর কর্মকর্তা মামুনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। সে ঘটনায় তিনিসহ অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিদ্রোহের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তাই তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানান। একই সঙ্গে এই ঘটনার পুনঃতদন্ত ও কারাবন্দিদের মুক্তির দাবি তোলেন মামুনসহ অন্যরা।
দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়করাও ছিলেন। পুলিশি পাহারায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ও তাদের স্বজনরা শাহবাগে অবস্থান নিয়ে একই স্লোগান তোলেন। সেখানে কথা হয় কারাবন্দি বিডিআর সদস্য কবির উদ্দিনের মেয়ে মিলির সঙ্গে। শিশু সন্তান রোহাকে নিয়ে বাবার মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে আসেন মিলি।
তিনি বলেন, তারা বাবা কবির উদ্দিনকে (৬৩) বিদ্রোহের অপরাধে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি রয়েছেন তার বাবা। তাই বাবার মুক্তির দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন শিশু সন্তানকে নিয়ে।
দুপুরের পর থেকে কয়েক শত লোকের শাহবাগ মোড়ে অবস্থানের ফলে শাহবাগ ছাড়াও সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, মৎস্য ভবন, বাংলামটর ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে এক রুটের যানবাহন ঘুরে অন্য রুট দিয়ে যেতে দেখা যায়। এসব এলাকার যানজট ছড়িয়ে পড়ে নগরীর দূর-দূরান্তে। আশপাশের অলিগলিতেও সৃষ্টি হয় যানজট। তবে বিকেল সাড়ে তিনটার পর সড়ক ছেড়ে ফের শহীদ মিনার এলাকার দিকে যান তারা। এর পরপরই এসব এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ মুনসুর বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর যারা চাকরিচ্যুত হয়েছে ও চাকরিচ্যুত সদস্যদের পরিবারের লোকজন শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। তারা প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো এখানে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি-দাওয়া জানান। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার পরে সড়ক ছেড়ে শহীদ মিনার এলাকার দিকে যান। তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের অনাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটলেও অবস্থানের ফলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। চারটার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলার জামিন শুনানি ১৯ জানুয়ারি ॥ বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলার জামিন শুনানির পরবর্তী তারিখ ১৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে জামিন শুনানির তারিখ আদালত এখনো নির্ধারণ করেনি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এদিকে সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া আদালত কক্ষ পরিদর্শন করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানান, পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারক ও আসামিপক্ষের আইনজীবীসহ এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেছি। এখানে আদালত পরিচালনার মতো অবস্থা নেই।
বিচারক আমাদের দুইপক্ষকে আজ ডেকেছেন। কবে এবং কোথায় আদালত বসবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। আমরা কথা বলে পরবর্তী শুনানির সময় নির্ধারণ করব।’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই অস্থায়ী আদালতে পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল।