শ্রীপুরে প্রকাশ্যে চাইনিজ কুড়াল হাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি দিতে আসা আটক এক কিশোর গ্যাং সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ করতে তাৎক্ষণিক সাড়া না পাওয়ায় স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পড়েছেন শ্রীপুর থানা পুলিশ।
বুধবার রাত ১২ টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কেওয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ (মেম্বার) এর ছেলে কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ী হৃদয় মিয়া (১৬) গত বেশ কিছুদিন ধরে তার ফেসবুক আইডিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিভিন্ন হুমকির স্ট্যাটাস দিয়ে আসছে।
বুধবার রাত ৯ টার দিকে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাং হৃদয় চাইনিজ কুড়াল হাতে কেওয়া বাজারে এসে বিএনপি নেতাকর্মীদের খুন করার উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে ফোন দেয়।
চাইনিজ কুড়াল সহ জনতার হাতে আটক কিশোর গ্যাং হৃদয়কে পুলিশে সোপর্দ করতে বার বার শ্রীপুর থানা পুলিশকে জানানো হলেও এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পায়নি স্থানীয় জনতা। এক পর্যায়ে রাত বারোটার দিকে ঘটনাস্থলে শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল, উপপরিদর্শক (এস আই) কুদ্দুস সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়েন তারা।
শ্রীপুর পৌর ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম জসীম উদ্দিন জানান, কিশোর গ্যাং ও মাদক সম্রাট হৃদয় মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিল। বুধবার রাত ৯ টার দিকে চাইনিজ কুড়াল হাতে কেওয়া বাজারে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে হুমকি দেওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। তখন আমি সহ উপস্থিত অনেকে শ্রীপুর থানা পুলিশকে বারবার ফোন দেই। থানা থেকে মাত্র দশ মিনিটের রাস্তা হলেও প্রায় তিন ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। মূলত দায়িত্বে অবহেলার কারণে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় জনতা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, জনতার হাতে আটক হৃদয় মিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের একটি পুলিশ টিম তখন জৈনা বাজার এলাকায় ডিউটিতে ছিল। ওইখান থেকে আসতে একটু সময় লেগেছে। তারপরও ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি।
আশিক