ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

আখের ক্ষেতে লাউ চাষ: ব্যতিক্রমী উদ্যোগে লাভবান কৃষক

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

আখের ক্ষেতে লাউ চাষ: ব্যতিক্রমী উদ্যোগে লাভবান কৃষক

ক্ষেতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের সঙ্গে এক শ্রমিক।

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর কৃষি ব্লকের আওতাধীন জমি আবাদ করে আখের সাথে লাউ চাষ করেছেন কৃষক আব্দুর রশিদ। তার জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিশ্র ফসল চাষ হয়েছে। 

উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে কৃষক আব্দুর রশিদ একই ক্ষেতে আখ ও লাউ ফসল চাষ করে অধিক ফলন পেয়ে আনন্দিত। এসব ফসল চাষে তাকে পরামর্শ দিয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম। প্রায় ৩০ শতক জমিতে প্রথমে উন্নতজাতের আখ চাষ করেন ওই কৃষক। পরে মাচা তৈরী করে আখ গাছের ফাঁকে ফাঁকে লাউয়ের চারা রোপণ করেন। শ্রমিকদের মাধ্যমে ক্ষেতের পরিচর্যা করান। মাঝে মধ্যে তিনি নিজেও ক্ষেতে কাজ করেন। এতে কিছুদিনের মধ্যে গাছে লাউ আসে। লাউ বিক্রি চলছে। আড়াই মাসখানের মধ্যে ক্ষেত থেকে আখ সংগ্রহ করে বিক্রি করা যাবে।

সরেজমিন গেলে কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, জমিতে ফসল করে আসছিলেন। ভালো ফলন পাচ্ছিলেন না। এখানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি প্রথমে আথ চাষ করেন। পরে চাষ করেন লাউ। 

উৎপাদিত লাউ বিক্রি থেকে তিনি প্রায় ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। আশা করছেন আখ বিক্রি থেকে আরও ৮০ হাজার টাকা পাবেন। এসব চাষে তার প্রায় ৯ থেকে ১০  হাজার টাকা খরচ হয়েছে। লাউ বিক্রি চলছে। আখ বিক্রি করতে আরও আড়াই থেকে তিন মাস লেগে যাবে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, চেষ্টা করে যেতে হবে। শ্রমের মাধ্যমে সফলতা আসে। কৃষক আব্দুর রশিদ ক্ষেতে মিশ্র ফসল চাষ করে সফলতার প্রমাণ দেখিয়েছেন। আমরাও নিজ নিজ জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করতে প্রস্তুতি নিয়েছি। 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিশ্র ফসল চাষে কৃষক আব্দুর রশিদকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি জমি আবাদ করে আখ ও লাউ চাষ করেন। এসব ফসল চাষে তিনি ভালো ফলন পেয়েছেন। তার ন্যায় এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও মিশ্র ফসল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। 

নুসরাত

×