চন্দনাইশ শঙ্খের চরে উৎপাদিত ফুলকপি বিক্রির জন্য নেওয়া হচ্ছে
শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমে এসে শীতের অন্যতম সবজি মুলা ও ফুলকপি নিয়ে বিপাকে পড়েছে শঙ্খের চরের কৃষকরা। বর্তমানে চন্দনাইশ দোহাজারীতে মুলা ২ টাকা, ফুলকপি ৫ টাকা হওয়ায় কৃষকরা উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে মাথায় দিয়েছে হাত।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শঙ্খ তীরবর্তী দোহাজারী, ধোপাছড়ি, চাগাচর, বরমা, চর-বরমা, বৈলতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন সবজির উৎপাদন ভালো হলেও এখন মুলা ও ফুলকপি নিয়ে কৃষকদের বিড়ম্বনার শেষ নেই।
আগাম হিসেবে দুই আড়াই মাস পূর্বে রোপিত মুলায় কৃষকরা ভালো দাম পেলেও শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমে এসে মুলা ও ফুলকপির দাম নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। শঙ্খচরে উৎপাদিত মূলা কৃষক পর্যায়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ২ থেকে ৩ টাকা, ফুলকপি ৪ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দোহাজারী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৈকত বড়ুয়া বলেছেন, এ অঞ্চলে উৎপাদিত সবজির সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সবজি একইসঙ্গে বাজারে আসায় বর্তমানে সবজির দাম কমে গেছে। যে সকল কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। পরবর্তীতে প্রণোদনা এলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনা দেওয়া হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের সবজি একই সময়ে বাজারে আসায় সবজিতে বাজার সয়লাব হয়েছে। ফলে দাম একটু কমেছে। তবে এখনো বাজারে শীতকালীন সবজির চাহিদা রয়েছে। তা ছাড়া শঙ্খ তীরবর্তী এলাকার সবজি খুবই সুস্বাদু ও দেখতে সুন্দর।
নওগাঁয় ফুলকপির পিস ২ টাকা
নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, ভালো লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করে এখন বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা। ভালো ফলনেও কপাল পুড়ছে তাদের। পাইকারি প্রতি পিস ফুলকপি সর্বনিম্ন আট আনা সর্বোচ্চ ২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ডাক্তারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায় ভোর থেকেই কৃষকরা তাদের জমিতে চাষ করা ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু ফুলকপি বিক্রি করতে এসেই পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রতি পিস ফুলকপির দাম পড়ছে সর্বনিম্ন আটা আনা। এর পরও অনেকেই অপেক্ষা করে ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না।
কৃষকরা বলছেন, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তারা। সে বিষয়টি ভাবনায় রেখে এ বছরও আবাদ করেছেন তারা। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে থাক- আসলও উঠে আসছে না।