চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ১ হাজার ৯১১টি কেস
চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ১ হাজার ৯১১টি কেস ডকেটের বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাই রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।
আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি অশনি সংকেত। এভাবে মামলার ডকেট গায়েব হয়ে যাওয়া মানে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। এসবের পেছনে কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করার দাবি তুলেছেন আইনজীবীরা। চট্টগ্রাম আদালত থেকে বিস্ফোরক, হত্যা, মাদক ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন রকমের মামলার ১ হাজার ৯১১টি ডকেট গায়েব হওয়ার ঘটনাটি কোতোয়ালি থানায় জিডি করতে গেলে জানাজানি হয় রবিবার রাতে।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মহানগর পিপি। আইনজীবীরা বলছেন, মামলার নথি গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষী, সাক্ষ্য এবং বিচারের সঙ্গে কেস ডকেট মূল্যবান।
রবিবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আব্দুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট বা সিডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না অবকাশকালীন ছুটির পর পর। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা ২০ থেকে ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি রয়েছে ওই গায়েব হওয়া বস্তায়। জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় পিপির কার্যালয়ের বাইরের বারান্দায় মেঝেতে রাখা হয়েছিল ডকেটগুলো।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ের সামনের যে বারান্দা আছে, সেখানে প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে করে রাখা ছিল। গত বছর আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় গত ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম আদালত ভবনের বারান্দায় নানা সময় এ রকম মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র এবং আদালত ভবনের আশপাশে মামলার আলামত রাখতে দেখা যায়। তবে নথির হদিস না পাওয়া সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রথম। এ ছাড়া কয়েক বছর আগে মালখানায় একবার আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছিল।