ত্যাগী ও সৎ নেতাকর্মীদের হাতেই যাচ্ছে নোয়াখালীর বিএনপি নেতৃত্ব
ত্যাগী ও সৎ নেতাকর্মীদের হাতেই যাচ্ছে নোয়াখালীর বিএনপি নেতৃত্ব। কে হচ্ছেন জেলা বিএনপির কা-ারি? কত সদস্যের কমিটি হবে? যদি আহ্বায়ক কমিটি হয়Ñ কে হবেন আহ্বায়ক? কে হবেন যুগ্মআহ্বায়ক কিংবা সদস্যসচিব? এমন নানাবিধ প্রশ্ন নিয়ে কিছুদিন ধরে আলোচনায় সরব ৯ উপজেলার সব ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সম্ভাব্য আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব পদে আলোচনায় থাকছে অনেকের নাম। গত দুইদিন থেকে কর্মী কিংবা অনুসারীদের কেউ কেউ আবার দলীয় প্যাডে নিজের পছন্দের নেতার নামসহ তালিকা দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। তখন দলের সভাপতির দায়িত্ব পান জাসদ থেকে আসা গোলাম হায়দার বিএসসি। সাধারণ সম্পাদক করা হয় আইনজীবী সমিতির নেতা আবদুর রহমানকে। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গঠনের দুই বছরের মাথায়।
এর পর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ছয় বছর। আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে তেমন আলোচনা ছিল না। তবে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। দলের দায়িত্ব পেতে আগ্রহী জ্যেষ্ঠ নেতারাও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা কাছের লোকজনের মাধ্যমেও দলে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নেতৃত্বে আসার চেষ্টায় জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী নেতারা যখন সক্রিয় হয়ে ওঠেন, তখন স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, যাদের বাড়ি নোয়াখালীতে, তারা চান পছন্দের ব্যক্তিরা জেলায় দলের দায়িত্বে আসেন। এ নিয়ে কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কেও শীতলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে দলের জন্য সুখকর নয় বলে মন্তব্য ওই নেতাদের।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উপজেলা পর্যায়ের বেশ কয়েক নেতার সঙ্গে। তারা বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও সেটিকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। আবেগের কিংবা কারও পছন্দের ব্যক্তিকে দলের দায়িত্ব না দিয়ে সামগ্রিকভাবে ত্যাগী ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ব্যক্তিকে দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে। তা না হলে তার প্রভাব পড়বে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটি গঠনে। তাই তারা চান দায়িত্বশীল নেতাদের যাতে আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়।
জেলায় বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নিয়ে যাদের নাম বেশি আলোচনায় রয়েছে, তারা হলেনÑ জেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আবদুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারুনুর রশিদ, সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি এম জাকারিয়া ও জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুব আলমগীর। আলোচনায় আছে সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম কিরণের নামও।