পৌষের শীতে উত্তরাঞ্চলে দুর্ভোগ
এবার জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। এখন শীত, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে কাহিল মানুষ। জনজীবনের স্বাভাবিক যাত্রায় পড়েছে ভাটা। কাজে কর্মে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এতে পৌষের শীতে উত্তরাঞ্চলবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। হিম বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার দাপট কখনো তীব্র ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে দৃষ্টিসীমা কমেছে।
গত পাঁচ দিন থেকে এই অঞ্চলে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। সময় যত গড়িয়ে যায় প্রকৃতির চারপাশ যেন ততই হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হতে থাকে। এমন বৈরী আবহাওয়ার কারণে গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর ও কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
এই জনপদের শীতার্ত মানুষের চাহিদার বিপরীতে মিলছে না পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। এই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সরকারি তরফ থেকে প্রায় তিন লাখ কম্বল মিলেছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারে নগণ্য। সরকারি-বেসরকারিভাবে সমাজের অসহায়, দুস্থ, গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সচেতন মহল।
এদিকে কুয়াশায় ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিবেশে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও নি¤œ আয়ের মানুষেরা। শ্রম বিক্রির অপেক্ষায় থাকা শ্রমিকেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে উষ্ণতার জন্য প্রয়োজনীয় মোটা কাপড়ের অভাবে শীতের ধকলে নাকাল তারা।
শুধু দিনমজুর নয়, তীব্র শীতে কাতর হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে হতদরিদ্র মানুষ। সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডা বাতাসে হারিয়ে গেছে উষ্ণতা। শীতের কারণে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।