ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১

আজ চূড়ান্ত ট্রায়াল

যমুনা রেল সেতুতে উভয়প্রান্ত থেকে চলল ট্রেন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ৫ জানুয়ারি ২০২৫

যমুনা রেল সেতুতে উভয়প্রান্ত থেকে চলল ট্রেন

যমুনা রেল সেতুতে রবিবার পরীক্ষামূলক ট্রেন পূর্ণ গতিতে চলেছে

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু দিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে চলল ট্রেন। রবিবার দ্বিতীয়বারের রেল সেতুর ওপর দিয়ে একযোগে উভয়প্রান্ত থেকে দুটি ট্রেন চলাচল করেছে। চলতি মাসের শেষ অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে কাজ করে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারায় উচ্ছ্বসিত প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়রা বলছেন, সেতুটি চালু হলে দেশের একপ্রাপ্ত থেকে অপর প্রান্তের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় হুইসেল বাজিয়ে ৪টি কোচ ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে একযোগে রেল সেতুতে ট্রেন চলাচল করে। প্রথম পর্যায়ে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন দুটি পারাপারের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পর ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। এ সময় দেখতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যমুনা রেল সেতুটি চালুর পর উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রসিংয়ের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যবসা- বাণিজ্যেও  গতি ফিরবে।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলেছে। এর অংশ হিসেবে প্রথমে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর টাঙ্গাইল অংশে পূর্বপাড় থেকে সিরাজগঞ্জ অংশে পশ্চিমপাড়ে ও পশ্চিমপাড় থেকে পূর্বপাড়ে ছেড়ে যায়। এর পর বেলা ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে।

এর পর বেলা ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে উঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিমপাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এর কিছু সময় পর আরেকটি ট্রেন ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার গতিতে সেতুটি পার হয়। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছে।
এদিকে যমুনা রেল সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ৪.৮ কিলোমিটার যমুনা রেলওয়ে সেতু জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। রেল সেতুটি চালু হলে একদিকে যেমন যাত্রীদের সময় বাঁচবে। অন্যদিকে যমুনা বহুমুখী সেতুতে চাপ কমবে।
যমুনা রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বলেন, সোমবার জাইকার কর্মকর্তা, সেতু কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে।

×