রামগঞ্জে সড়কে যানজট, ভোগান্তি

রামগঞ্জ পৌর শহরের সড়কের দু’পাশে ১৫টি স্থানে অটোরিক্সা, সিএনজি, পিক-আপ ও ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এসব স্ট্যান্ড সড়কের অনেকাংশ দখল করে নিয়েছে। এ কারণে শহরে সকাল-দুপুর, সন্ধ্যায় ঘণ্টার পর ঘন্টা তীব্র যানজট লেগে থাকে। সৃষ্ট যানজটের ফলে, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষ সড়কের ওপর গড়ে ওঠা স্ট্যান্ড ও ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতাকে দায়ী করছেন। 
সরেজমিন দেখা যায়, পৌর শহরের বাইপাস সড়কের ১ কিলোমিটার অংশের শিশু পার্ক ব্রিজের ওপর, রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চৌরাস্তায়, মেডিকা হসপিটালের সামনে, রামগঞ্জ চৌরাস্তায়, সোনাপুর চৌরাস্তায়  সিএনজি ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ও পিতামাতা মঞ্জিলের সামনে পিক-আপ ও ট্র্যাক স্ট্যান্ড রয়েছে। এ ছাড়া সোনাইমুড়ি সড়কের খাদ্যগুদামের সামনে সড়কে, নন্দনপুর এরশাদ হোসেন সড়কের ওপর, সোনাপুর চিতোষী সড়কের ওপর, রামগঞ্জ-সোনাপুর রাস্তার নূরপ্লাজার সামনে সোনাপুর মৌভলীবাজারে, সোনাপুর ওয়াপদা সড়কজুড়ে এসব স্ট্যান্ড।

এতে সরু হয়ে পড়ছে সড়ক। এ ছাড়া সড়কের পাশে রয়েছে ঢাকাগামী আল আরাফাহ পরিবহন ও আল আরাফাহ এক্সপ্রেস পরিবহনের কাউন্টার। এ সকল স্থানে পরিবহন শ্রমিকরা সড়কের ওপর এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে যাত্রী তুলছে। রামগঞ্জ চৌরাস্তায় একজন ট্রাফিক পুলিশ ছাড়া কোথাও ট্রাফিক পুলিশ অথবা যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাউকে দেখা যায়নি। জহিরুল ইসলাম, স্বপনা বেগম, ফরহাদ মিয়াসহ কয়েকজন পথচারী বলেন, রাস্তায় যানজট ও ফুটপাতে দোকান থাকায় আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জেসমিন আক্তার বলেন, বাচ্চাকে নিয়ে সোনাপুর থেকে রামগঞ্জে স্কুলে যেতে ৩ থেকে ৪ জায়গায় যানজটে পড়তে হয়। এতে রাস্তার মধ্যে অনেক সময় চলে যায়। 
এ ব্যাপারে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরিজীবী আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী সুলাইমান, শিক্ষক মনির হোসেনসহ অনেকে জানান, সড়কের ওপর স্ট্যান্ড থাকা ও ট্রাফিক পুলিশরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণে এই ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত সময় ব্যয়সহ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।  এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা। 
রামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (টিএসআই) মো. মমিন উল্যাহ জানান, সড়কজুড়ে স্ট্যান্ড ও ট্রাফিক পুলিশে জনশক্তি কম থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তার পরও আমরা সাধ্যমতো  চেষ্টা করছি, মামলাও দিচ্ছি। যেন যানজট সৃষ্টি না হয়। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন জানান, সিএনজি ও অটোরিক্সার স্ট্যান্ডের নির্দিষ্ট কোনা জায়গা না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে এ সমস্যা হয়ে আসছে। খুব দ্রুত স্ট্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।