টঙ্গী ময়দানে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে শনিবার কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে ওলামা-মাশায়েখ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ
ইজতেমা নিয়ে তবলিগের দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যেই কাকরাইল মসজিদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শূরাপন্থি হিসেবে পরিচিত মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়েরের অনুসারীরা। তারা জানিয়েছেন, তাদের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ৩১ জানুয়ারি যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ বা সংশয়ের অবকাশ নেই। তবে পরবর্তী পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীদের যে ইজতেমা হওয়ার কথা রয়েছে সে ব্যাপারে এই পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের হাতে তবলিগের নিরীহ মুসল্লিদের রক্তের দাগ। তাদের ইজতেমা করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তবে এই বিষয়ে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান শূরাপন্থিরা।
শনিবার কাকরাইল মারকাজ মসজিদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা খলিল আহমদ কোরাইশী, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুর হক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের গ্রেপ্তার, বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন শূরাপন্থিরা। এসব দাবি মানা না হলে ২৫ জানুয়ারি দেশের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের নিয়ে সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে প্রথম পর্বের ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠানের কাজ চলমান। এটি যথাসময়ে হবে। তবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা সাদপন্থিরা করতে পারবে কি না তা প্রশাসনই ঠিক করবে বলে জানান তিনি। যাদের হাতে তবলিগের নিরীহ মুসল্লিদের রক্ত তাদের ইজতেমা করার নৈতিক অধিকার নেই বলেও মনে করেন আলোচিত এই হেফাজত নেতা।
লিখিত বক্তব্যে মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন, ২০১৮ সালেও টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার বিচার হলে ২০২৪ এর ডিসেম্বরে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটত না। এবারও যদি হামলাকারীরা ছাড় পেয়ে যায়, তবে ভবিষ্যতে আবারও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।