ঘন কুয়াশায় আরিচা ও পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ

ঘন কুয়াশায় ব্যস্ততম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে শুক্রবার মধ্যরাতে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম (বাণিজ্য) নাসির আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে পদ্মা নদীতে কুয়াশার মাত্রা বাড়তে থাকে। রাত ১১টার দিকে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে গেলে মাঝ নদীতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বহরের মতিউর রহমান নামের একটি রো-রো ফেরি। এ সময় নৌ-দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
একই কারণে যমুনা নদীতে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ রাখা হয় আরিচা-কাজিরহাট রুটের ফেরি সার্ভিস। এই রুটের মাঝ নদীতে খান জাহান আলী ও কিষানি নামের দুটি ফেরি নোঙর করতে বাধ্য হয়।
শনিবার সকাল  ৮টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে উভয় রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়। দীর্ঘ ৮-৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন। কনকনে শীতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহায় আটকে পড়া যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণ। সকালে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে সিরিয়াল অনুযায়ী যানবাহনগুলো পারাপার করতে দেখা যায়।
এদিকে, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, পৌষের হাঁড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নৌ পথে চলাচলে শনিবার সকাল থেকে দুই ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে পুনরায় চালু হয় ফেরি। শীতে গ্রামীণ জনপদে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত। শনিবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল সর্বত্র। সূর্যের আলোর দেখা মিলছে না। জনশূন্য গ্রামীণ জনপদের রাস্তাঘাট, বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর শ্রেণির নি¤œ আয়ের মানুষ। 
সরেজমিনে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে উপকূলীয় এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌর শহরে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন শহরের দোকানগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। নৌপথে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ ট্রলার দীর্ঘক্ষণ পর দু-একটি ছাড়লেও যাত্রী ছিল খুবই কম।  
এদিকে, শীতে শহরে কাপুড়িয়াপট্টি সড়কে নতুন-পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। শীত নিবারণে শিশু ও বৃদ্ধদের গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি। নতুন কাপড়ের পাশাপাশি পুরনো কাপড় ক্রয়ের ঝোঁক বেড়েছে দিনমজুর শ্রমিক শ্রেণির মানুষের।