আদমদীঘিতে শাক সবজির দামে ধ্বস, লোকসানে কৃষক

উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় হাট বাজারে শাক সবজির দামে ব্যাপক ধ্বস নেমেছে। উৎপাদন খরচ তোলা তো দুরের কথা দিতে হচ্ছে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। জানা গেছে, গত প্রায় দুই মাস পুর্বে শাক সবজির দাম বৃদ্ধি পায় বেপরোয়া ভাব্।ে একারনে শীত মৌসুম শুরুর সাথে সাথে ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষকরা আগাম আলু, মুলা, ফুলকপি, বাধাকপি, ছিম, গাজর, টমেটো, পালংসহ সব ধরনের শাক সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েন। এর পরই দেখা দেয় দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া। ফলে কৃষক শাক সবজির ফলন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে অল্প দিনেই অনুকুলে চলে আসে শাখ সবজি চাষাবাদের আবহাওয়া। ফলে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ফলনও হয়েছে কল্পনাতিত। এতে করে  হাটে-বাজারে বর্তমানে শাক সবজির ব্যাপক সরবরাহ হওয়ায় হাট বাজারে এসব কাঁচা ও পচনশীল কৃষিপণ্যের দামে ধ্বস নেমেছে। শনিবার উপজেলার সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে নতুন আলু জাত ও আকার অনুপাতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মাঝারী ও ঢাউস আকারের প্রতি পিস ফুলকপি পাঁচ থেকে ১০ টাকা, বাধাকপি সাইজ ও ওজন অনুপাতে ১০ থেকে ২০ টাকা, জাত অনুযায়ি প্রতি কেজি ছিম ১০ থেকে ২০ টাকা, মুলা প্রতিকেজি তিন থেকে পাঁচ টাকা, গাজর মান ভেদে প্রতিকেজি ২০/৩০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা আর ১২০ টাকার পালংশাক বর্তমানে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই হাটে শহরের পৌঁওতা গ্রামের মুনছুর আলী, শহর সংলগ্ন সান্দিড়া গ্রামের রবিউল ইসলামসহ অনেক ক্রেতা হাসি মুখে বলেন, হাটে শাক সবজির দাম কম হওয়ায় অল্প টাকায় ব্যাগভর্তি হয়ে গেছে। উপজেলার শাক সবজি চাষাবাদের অন্যতম এলাকা অন্তাহার গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান, ছাতিনয়ানগ্রামের মেহেদী হাসান ও দুর্গাপুর গ্রামের আলাউদ্দিন আলী হতাশ কন্ঠে বলেন, এক পিস ফুলকপি উৎপাদন খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কিন্তু হাট বাজারে পাইকারিতে মাত্র তিন থেকে পাঁচ টাকায় বিক্রি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এবার উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে পাঁচশ’ হেক্টর বেশী জমিতে শাক সবজি এবং একই ভাবে লক্ষমাত্রার চেয়ে এক হাজার হেক্টর বেশী জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ফলে হাট বাজারে বর্তমানে এসব কৃষি পণ্যের দাম কমে গেছে।