
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতে ছিল, হোটেলে ছিল, পার্সোনাল বাড়িতে ছিল। আপনারা শুধু এক জায়গার কথা জানেন। বাকি কথা জানেন না। অচিরেই হয়তো জানতে পারবেন। উপদেষ্টা শুক্রবার দুপুরে খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও ৫৬ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতদিন আমরা থাকি চেষ্টা করবো মানুষ ও দেশের জন্য কিছু করার। দেশটা এমন তছনছ হয়ে গেছে যে ভেরি ডিফিকাল্ট শুধু আমাদের জন্য না, আগামীতে যারা সরকারে আসবে তাদের জন্যও। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার তরুণ অকাতরে জীবন দিয়েছে। আমরা সবাই তাদের এই দানকে স্বীকার করি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এখনও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এগুলো হচ্ছে। অনুরোধ করবো সমাজে যারা নেতৃস্থানীয় আছেন তারা প্রতিহিত করুন চাঁদাবাজি। কারণ অনেক হয়ে গেছে, আর এর জন্যই দেশের আজ এই অবস্থা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডাইরক্টিং স্টাফ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নজরুল ইমলাম মঞ্জু এবং সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান। এতে সভাপতিত্ব করেন সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের মোঃ আনিছুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মোল্লা মারুফ রশীদ।
অনুষ্ঠানে আরও বলেন, একসময় খুলনা শহরে মোংলা পোর্টের অফিস ছিলো। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সবার প্রয়োজনে আবার এই অফিসটি খুলনা শহরে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট, তাই এটিকে বাঁচিয়ে রাখা ও আরো কার্যকর করার দায়িত্ব আপনাদের সকলের। এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ না হলে বন্দরটির পুর্ণ বিকাশ হবে না, এক্ষেত্রে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ট্যারিফ কমিয়ে আমদানিকারকদের এবন্দর ব্যবহারে আরো আগ্রহী করে তুলতে হবে।