ছবিতে চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতারা
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের চিহ্নিত নেতারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ফিরে এসে অনেকেই প্রকাশ্যে চলাফেরা শুরু করেছেন। বাড়ি ফিরে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারা বিএনপিতে যোগদান করছেন। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সাথে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে বাড়ি ফেরার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের এমন কয়েকজন নেতার বিএনপিতে যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইউনিয়ন কৃষলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন তুহিন, আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ফকরুল ইসলাম ফোরকান, আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ডের কোষাধ্যক্ষ ও ইউপি সদস্য মোঃ ফিরোজ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মস্তফা মৃধা উপজেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের কালাইয়া বন্দরের ফলপট্টির বাসভবনে গিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এই ছবিতে আলতাফ মাস্টার, আব্দুল ছালাম, শাহজাহান মাতব্বর, সহ বিএনপির বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের চিহ্নিত করে কেউ একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক চিহ্নিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকে বিএনপিতে যোগদানের খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মদনপুরা ইউনিয়ন বিএনপির চন্দ্রপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির একটি কার্যালয় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা শ্রমীক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথি আসন গ্রহণ করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, গিয়াস উদ্দিন উপজেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শ ধারণ করলে আওয়ামী লীগের নেতাদের যোগদান তো দূর তাদের সাথে সখ্যতা রাখতে পারেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গিয়াস উদ্দিন বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলমের অনুসারী বলে জানা গেছে।
রিফাত