ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১

হিমালয়ান চার শকুন উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ০১:০১, ১ জানুয়ারি ২০২৫

হিমালয়ান চার শকুন উদ্ধার

চারটি পরিযায়ী হিমালয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার

নীলফামারীর পৃথক স্থান থেকে চারটি পরিযায়ী হিমালয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে খাদ্য সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়া শকুনগুলো উড়তে পারছিল না। এলাকাবাসী শকুনগুলো নীলফামারী বন বিভাগে হস্তান্তর করেছে। বন বিভাগের পক্ষে অসুস্থ শকুনগুলো চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত সিংড়া শকুন রেসকিউ সেন্টারের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। 
সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া ও খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ি এলাকা এবং ২৮ ডিসেম্বর জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই মাঝাপাড়া ও পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী কোরানী পাড়া এলাকা থেকে উড়তে অক্ষম অবস্থায় পরিযায়ী হিমালয়ান গৃধিনী চারটি শকুন উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া এসব শকুনকে সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নীলফামারীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর বন বিভাগের সিংড়া শকুন রেসকিউ সেন্টারের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে শকুনগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বন বিভাগের পক্ষে জানানো হয়, শীতে পুরো হিমালয় বরফে ঢেকে যায়। এ সময় ওই অঞ্চলে প্রাণীদের খাদ্যসংকট হয়। বড় সমস্যায় পড়ে এ এলাকার সবচেয়ে বড় পাখি হিমালয় গৃধিনী শকুন। যা লম্বায় প্রায় ৪ ফুট এবং ওজন প্রায় ১২ কেজি হয়। এ-জাতীয় শকুন মূলত মরা পশু ও প্রাণী খেয়ে থাকে। শীতে বরফঢাকা এলাকায় খাবার না পেয়ে এই পাখিগুলো পরিযায়ন করে বাংলাদেশে চলে আসে।

প্রতি শীতে প্রায় ১০০টি পাখি আমাদের দেশের সীমানায় দেখা যায়। শীতে এ দেশে আসা প্রায় অর্ধেক শকুনই মাটিতে পড়ে যায়, উড়তে পারে না। বিশেষ করে বাচ্চা পাখিগুলোর ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা বেশি ঘটে। মূলত দুর্বলতা থেকেই এ রকমটি ঘটে থাকে। হিমালয় থেকে এ দেশের সমতল ভূমিতে আসতে হিমালয় গৃধিনীকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়।

×