ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১

বাহিনীর প্রশিক্ষণ সমাপনীতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিজিবি যেন কোনো অবস্থায় পিঠ না দেখায়

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজিবি যেন কোনো অবস্থায় পিঠ না দেখায়

বিজিবি যেন কোনো অবস্থায় পিঠ না দেখায়

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্তে বিজিবিকে অর্ডার করা হয়েছে- তারা যেন কোনো অবস্থায় পিঠ না দেখায়, বুকটা যেন দেখায়। ভারত যেমন হুংকার দিচ্ছে, আমরাও তেমন জবাব দিতে প্রস্তুত। সীমান্ত রক্ষায় আমরা পিছ পা হব না। আর মিয়ানমার সীমান্ত বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মি উভয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বায়তুল ইজ্জতে সংস্থার ১০২তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না এবং মাদক চোরাচালান হচ্ছে- তারা আবার উল্টো বাংলাদেশকে হুংকার দিচ্ছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি কী এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবিকে অর্ডার করা হয়েছে- তারা  যেন কোনো সময়ে, কোনো অবস্থায় পিঠ না দেখায়, বুকটাই যেন দেখায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিষয়ে দেশের সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যে ধরনের হুংকার দিচ্ছে, আমরাও কিন্তু এর চেয়ে বেশি প্রতিউত্তর দিচ্ছি।

সাংবাদিকদের একটা অনুরোধ করব ওদের মিডিয়া প্রচুর মিথ্যা কথা বলছে, ওটার প্রতিউত্তর আপনারা দিতে পারেন। আপনারা সত্যি ঘটনা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। আপনারা যদি আরও বেশি প্রচার করেন তাহলে দেশ, জাতি ও জনগণের জন্য ভালো। 
সম্প্রতি সিলেট সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, যে দুইটা হত্যা হয়েছে, তা বিএসএফের মাধ্যমে নয়- সেখানে দুই গ্রুপের অন্তর্কোন্দলে হয়েছে। এপারেও খাসিয়া আছে, ওপারেও খাসিয়া আছে; খাসিয়ারা অনেক সময় এপার থেকে ওপারে সীমান্ত অতিক্রম করে যায়। নিজেদের মধ্যে শত্রুতা আছে, সেটা অনেক সময় তারা উদ্ধার করে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্ডার সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। 
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরাকান আর্মি আমাদের বিপরীতের জায়গাগুলো দখল করেছে। এখন আমাদের একটু সমস্যা যে, আমাদের আরাকান আর্মির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। দুপক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। ধরেন এখন যদি পতাকা বৈঠক করতে হয় তাহলে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে করার মতো কোনো জায়গা নেই। যেহেতু তারা এপারে আসতে পারে না। আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। কিন্তু ওধরনের বৈঠক করা ডিফিকাল্ট।
সীমান্তে কোনো শঙ্কার কারণ নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের কোনো শঙ্কার কারণ নেই। একসময় বন্ধু শত্রু হয়ে যায়, শত্রু বন্ধু হয়ে যায়। এ কৌশল কিন্তু চলে। আমাদের ক্ষেত্রেও কোনো সময় কোন স্ট্র্যাটেজি নিতে হবে এ সম্পর্কে সরকার সবসময় সজাগ আছে। তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন যেতে হলে নাফ নদীর দরকার পড়ে। বিজিবি বা কোস্ট গার্ডকে যেতে ওরা বাধা দেয় না। কিন্তু অনেক সময় বড় বড় জাহাজগুলোকে তারা বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের নেগোসিয়েশন চলছে। অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। 
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম প্রমুখ।

×