ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১

লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড় পর্যন্ত

নির্দিষ্ট সময়ে বাঁধ নির্মাণ না হওয়ার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্দিষ্ট সময়ে বাঁধ নির্মাণ না হওয়ার আশঙ্কা

সময়মতো বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় টঙ্গীবাড়ির দিঘিরপাড় বাজার ভাঙ্গনের বড় ঝুঁকিতে

নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড় পর্যন্ত পদ্মা নদীর ১৪ কিলোমিটার তীর এলাকায় চলছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ। তবে আগামী বছর বর্ষা মৌসুমের আগে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হবে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলছে। এর ফলে আগামী বছর পদ্মার ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে দুই উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী মানুষেরা।

বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষা পূরণ হবে। কারণ, গত আড়াই দশকে দুই উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম বিলীন হয়েছে। ভিটেমাটি, জমিজমা হারিয়েছেন অর্ধ লাখ পরিবার। মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৩৯ শতাংশ। ১৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বছরের জুনে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।  জানা যায়, পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ২০২১ সালে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

আর এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর ধরা হয়। প্রথমে প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৪৬ কোটি টাকা। পরে আরও ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ চলতি ডিসেম্বরে পুনরায় বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫২৭ কোটি টাকা করা হয়। গাওদিয়া গ্রামের কাজী বাবুল বলেন, পদ্মার ভাঙনে দুই দশক আগে বসতবাড়ি, জমাজমি হারিয়ে বর্তমানের স্থানে আছি। এখান থেকে নদী মাত্র ২০০ মিটার দূরে। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না।

আমরা পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা খুব দ্রুত এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এদিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীঘিরপাড় বাজার রয়েছে হুমতিকে। গেল বর্ষার শেষ দিকে ভাঙনে বাজারটির কয়েক দোকান বিলীন হয়েছে। বাজারের বিপরীতের জনপদেও ভাঙনে বহু ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার এই ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত  বাঁধের কাজ সম্পন্ন করা জরুরি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওজীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রকল্প সংশোধন পর  প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে ব্লকের কাজ শুরু হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।

×