ইউপি সদস্য বাসনা মল্লিক
নড়াইলের ধর্ষণের শিকার মাইজপাড়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের বাসনা মল্লিক (৫২) নামে এক নারী ইউপি সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে! তিনি ওই ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে মাইজপাড়ার পোড়াডাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় শ্মশানে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বাসনা মল্লিক বাড়িতে ফিরে এসে কয়েকবার বমি করেন। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি মহলের দাবি, তিনি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। লজ্জায় কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে নিহতের ছেলে রিংকু মল্লিক বলেন, ‘আমার মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।’
মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সফুরা খাতুন বলেন, ‘বাসনা মারা গিয়েছেন, এ পর্যন্ত জানি। মৃত্যুর কারণ জানি না।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বজলুর রশীদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা, ওই নারীকে ধর্ষণ করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষত ছিল। আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ওই নারীর পেটে বিষ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ভিসেরা প্রতিবেদন হাতে এলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেছি, বাসনার সঙ্গে পাশের দৌলতপুর গ্রামের একটি ছেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ২-৩ জন বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ সময় তার কাছ থেকে কিছু জরিমানা আদায় করতে পারে এবং তাকে যৌন হয়রানিও করতে পারে। পরে তিনি লজ্জায় বিষ জাতীয় কিছু পান করতে পারেন। বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, রিপোর্ট হাতে পেলে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এম হাসান