তিন সন্তানকে ঘরে রেখে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে প্রবাসির স্ত্রীর পলায়ন
উখিয়ার হলদিয়া পালং পাগলির বিল এলাকার প্রবাসী নুরুল আলমের স্ত্রী কহিনুর খানম পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে লাপাত্তা হয়ে পড়েছেন। নিজের তিন সন্তানকে রেখে গপছেন বাড়িতে। বর্তমানে তিনি পরকীয়া প্রেমিক মো: আরমানের সঙ্গে রয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে, যখন সবাই জুমার নামাজে মসজিদে চলে যায়, তখন সুযোগে কহিনুর প্রিতি প্রেমিক আরমানের হাত ধরে বাড়ি থেকে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
ওমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা নুরুল আলম এই ঘটনার খবর পেয়ে চরম হতাশ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকা নুরুল আলম তার উপার্জনের সব টাকা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন। কিন্তু স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তার পাঠানো ৭ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার এবং তিন সন্তানকে রেখে তিনি প্রেমিক আরমানের সঙ্গে পালিয়ে যান। বিষয়টি জানার পর নুরুল আলম এবং তার পরিবার অবাক হয়ে পড়েছেন।
নুরুল আলমের পরিবার দাবি, কহিনুর খানম (প্রিতি) এর আগে একবার প্রেমিক আরমানের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং পরে স্বামীকে ফিরে পেয়ে সংসার করেন। কিন্তু এবার, আরমানকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফের তাকে গ্রহণ করার পরিবর্তে নিজের সন্তানদের ফেলে চলে যান। ঘটনার সময় কহিনুর তার মোবাইল ফোন ভুলে বাড়িতে রেখে চলে যান, যা থেকে তার পরকীয়ার বিষয়টি পরবর্তীতে প্রকাশ পায়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর এক ব্যক্তি রাস্তায় কহিনুরকে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে দেখেন। ওই ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করলে, কহিনুর কোনো উত্তর না দিয়ে চলে যান। পরে নুরুল আলমের মা জুলেখা বেগম জানান, কহিনুর তাকে বলেছিলেন যে, তিনি বাবার বাড়ি জরুরি কাজে যাচ্ছেন, কিন্তু কিছু সময় পর সিএনজিতে চড়ে চলে যান। এরপর কহিনুরের মোবাইল ফোনে আসা বার্তাগুলোর মাধ্যমে নুরুল আলম ও তার পরিবার জানেন, পরকীয়া প্রেমের কারণে কহিনুর আরমানের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসাইন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই ঘটনার পরপরই আমাদের তদন্ত শুরু হয়েছে, এবং প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, অভিযুক্ত প্রেমিক মো: আরমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে, ফলে তার অবস্থান এখনও অজ্ঞাত। তবে, অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় নুরুল আলম ও তার পরিবার চরম দু:খিত এবং ক্ষুব্ধ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, নুরুল আলম বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও তার স্ত্রী কহিনুরের এই বিশ্বাসঘাতকতায় পুরো পরিবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, এধরনের ঘটনা সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র তুলে ধরছে। তারা আশা করছেন, পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করবে।
এঘটনা সামাজিক মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, এবং অনেকেই কহিনুরের এই পলানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে, সকলের নজর এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে।
এ ঘটনা উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা তাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। প্রশাসন ও পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জাফরান