ছবি: সংগৃহীত।
বান্দরবানের লামা বনবিভাগের আওতাধীন তৈন রেঞ্জে শত কোটি টাকার কাঠ পাচারের অভিযোগ উঠেছে কাঠ পাচারকারী চক্র এবং সংশ্লিষ্ট সিনিয়র বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে, কেবল লোক দেখানোর জন্য তদন্তের নামে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে তৈন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী খান এবং তৈন সদর রেঞ্জ বিট কর্মকর্তা মেজাম্মেলকে।
এ ঘটনায় তদন্তে উঠে এসেছে, যে, গত সরকারের সময়ে লামা বনবিভাগের একটি অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বেশ কিছু অনিয়মের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি জোত পারমিটের নাম ব্যবহার করে অবৈধ কাঠ পাচার কার্যক্রম চলছিল। এই পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল বনবিভাগের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যারা চট্টগ্রাম বিভাগের বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, লামা বনবিভাগের আওতাধীন আলীকদম তৈন রেঞ্জের পাঁচ হাজার একরের রিজার্ভ বনাঞ্চল বর্তমানে প্রায় গাছহীন হয়ে পড়েছে। এই কাঠ পাচারের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুতুবউদ্দিন সওদাগরকে, যিনি বহু বছর ধরে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন।
এমন পরিস্থিতিতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে, এই পাচার চক্র আরও বিস্তৃত হয়ে পরিবেশের জন্য বিপদজনক হতে পারে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, কাঠ পাচারের এই মহাব্যবসা বন্ধ করতে হলে, শুধু কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেই হবে না, বরং পুরো বনবিভাগের কার্যক্রমের নিবিড় তদন্ত করা জরুরি।
নুসরাত