ছবি সংগৃহীত
চাঁদপুরে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এবং হত্যাকাণ্ডে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনার ফলে পুরো জেলায় শোক এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
সকালে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনেরগাঁও গ্রামের চৌধুরী বাড়ির পুকুর থেকে সুফিয়া বেগমের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিঃসন্তান সুফিয়া গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন। পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি এবং মাইকিংয়ের পরও তাকে পাওয়া যায়নি। আট দিন পর তার মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম।
এদিকে, দুপুরে মেঘনা নদীতে মালবাহী জাহাজে সশস্ত্র হামলায় ৭ জন নিহত হন। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতরা নড়াইল জেলার বাসিন্দা। চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানিয়েছেন, ডাকাতির উদ্দেশ্য অথবা পারিবারিক শত্রুতার কারণে এই হামলা হতে পারে।
বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের মাইজের বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান (১৪) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছে তার দুই বন্ধু নেওয়াজ (১৪) ও রবিন (১৩)। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
রাতে হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে বোগদাদ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আহমেদ জুলহাস খাঁন (২৩) প্রাণ হারান। দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করলেও হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
একই রাতে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসার পথে জৈনপুর পরিবহনের একটি দুর্ঘটনায় আরও একজন নিহত হন। তবে তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
আশিকুর রহমান