“ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টেরমত রাস্তায় নামতে হবে।” বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব ফকরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্ত্যে নিয়ে বাউফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুনতাসির তাসরিপ লামিম তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এই পোস্ট দেয়ার পর ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বাউফল পৌর ছাত্র দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ। মুনতাসির তাসরিফ তার পোস্টে বিএনপি মহাসচিবের একটি ফটো কার্টের উপর ইংরেজীতে লিখেন “Another Kader Kaku In Town”
ওই ছাত্রদল নেতা মুনতাসির তাসরিপ লামিমকে উদ্দেশ্য করে তার ফেসবুক আইডি থেকে পাল্টা এক পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন “বি এন পির মাননীয় মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার কে নিয়া সমালোচনাকারীর পরিচয় দেখে নিন। আওয়ামী লীগ এখন ভোল পাল্টিয়ে, দল পাল্টিয়ে সমালোচনা করবে এটা ছাত্রদল মেনে নিবে না। হুশিয়ার সাবধান।
তার পোস্টের সাথে ওই ছাত্র দল নেতা বৈষষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুনতাসির তাসরিফের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক চীফ হুইপ ও বাউফলের এমপি আসম ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোসারফ হোসেন খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান ও উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়াম আক্তার নিসুর ছবিসহ ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্ম দিনের একটি পোস্টারসহ ৪টি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে মুনতাসির শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে ক্যাপশনে লিখেন “তারণ্যের জাগরণ।”
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুনতাসির তাসরিপ লামিম বলেন,“ আমি এবং আমার পরিবার কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না। আমি বিগত ৫ বছর যাবৎ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। স্বভাবতই যে সরকারই থাকুক। আমাকে তাদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হয়েছে। বাউফলের তৎকালীন জনপ্রতিনিধিদের সাথে আমার ছবি থাকা মানেই আমি তাদের রাজনীতির সাথে জড়িত নয় ৷
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিবের একটি অযৌক্তিক বক্তব্য ফেসবুকে শেয়ার করার পর। বাউফল পৌর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে। আমাকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় হেনস্তা করা হচ্ছে। অথচ তাদের মুক্তির জন্যই বাউফলের রাস্তায় বসে পরেছিলাম। তাদের মুক্তির জন্য আওয়ামী লীগ নেতা আর পুলিশের ভয়ে দিনের পর দিন পালিয়ে ছিলাম। আর তারাই আমাকে আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে দিল। আওয়ামী সংস্কৃতিকে লালন না করে জনতার হয়ে কাজ করার। এ পোস্টের কারণে নিজের ফাঁসি চেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ওই সংগঠক।
রাজু