সড়কে কালভার্ট স্থাপন করছিল চার শ্রমিক। কাজের ফাঁকে এক নারীর বাধার মুখে পড়ে শ্রমিকরা। বাধা না মানায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারী পুলিশে চাকুরি করা মেয়েকে কর্মস্থল থেকে ডেকে আনেন বাড়িতে। পরে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সহ চার শ্রমিককে দেন পিটুনি। সোমবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার দাসপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইঝুড়ি নদীতে এক বছর আগে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ চলমান। এর মধ্যে দাসপাড়া নামক স্থানে হারিসের বাড়ির সামনে একটি কালভার্ট নির্মানের জন্য মাটি খনন চলছে। সোমবার শ্রমিকরা কাজ করা অবস্থায় নুরুজাহান বেগম কালভার্টের সংযোগস্থল তাঁর জায়গা দিয়ে না নিতে বাধা দেয়। কিন্তু না মেনে কাজ চালিয়ে গেলে ওই নারী তার মেয়েকে (পুলিশে কর্মরত) খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন। এসময় ঘটনাস্থলে এসে লাঠি হাতে নিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় শ্রমিক হাতেম আলী, খোরশেদ মিয়া, লিটন মিয়া, আল-আমীন এবং ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন আহত হন।
নুরজাহান বেগম বলেন, মেয়ে ভৈরবে পুলিশের চাকুরি করে। আমার জমিতে কালভার্ট তৈরির সময় বাধা দিলে তারা বন্ধ করেনি। এ অবস্থায় তিনি ভৈরবে চাকুরি করা মেয়েকে ফোন দিয়ে নিয়ে বাড়িতে আসেন। পুলিশ সদস্য শাফলা জানান, তিনি ভৈরবে পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত আছেন। কোন থানায় কর্মরত জানতে চাইলে তিনি থানার নাম বলতে চাননি। তবে মাকে মারধর করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসেছেন। তাঁর দাবি তিনি কাউকে মারধর করেননি।
ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে এসে মা মেয়ে দুইজনকেই থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ে শাফলা হিংস্র কর্মকান্ডের কারনে থামানো যায়নি। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের উপর হামলা করেন। এসময় আমাকেও পিটিয়ে আহত করেছে। নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক পিন্টু চন্দ্র দে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার লোকজনের কাছে জানতে পেরেছি শাফলা বেশ কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করেছেন। তাছাড়াও মেম্বারের ওপরেও হাত তুলেছেন।
নারী পুলিশের কান্ড! মেম্বারসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত
শীর্ষ সংবাদ: